এসএম মিজানুর রহমান শ্যামনগর (সাতক্ষীরা): সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শীতের শুরু থেকে সুন্দরবনে দর্শনার্থীদের আগমন বেড়েছে ব্যাপক হারে। গত বছর করোনার কারণে দর্শনার্থী না আসায় এবার দর্শনার্থীরা সুন্দরবন দর্শনে আসছে ব্যাপক হারে। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ভীড় জমাচ্ছেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিওসহ নানা শ্রেণির মানুষ আসছে সুন্দরবনে।
মুন্সীগঞ্জ ও নীলডুমুর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে হয়। বুড়িগোয়ালনী স্টেশন থেকে সরকার নির্ধারিত ফি জামা দিয়ে অনুমতি নিয়ে ট্রলার বা লঞ্চ ভাড়া করতে গিয়ে হতাশ হচ্ছে মানুষ। ট্রলার মালিকদের সেন্টিগেট থাকায় ইচ্ছা মত ট্রলার ভাড়া আদায় করছে তারা। সুন্দর বনের কলাগাছিয়া ইকটুরিজম যাওয়া আসার ডিজেল প্রয়োজন ২ লিটার অথচ তারা ভাড়া নিচ্ছে আড়াই থেকে ৩ হাজার বা তার ও বেশি। দোবেকী যাওয়া আসায় ডিজেল প্রয়োজন ১০ লিটার সেখানে ভাড়া হাকাচ্ছে ৬ হাজার বা তারও বেশি। অনেকে দর্শনার্থী এত বেশি ভাড়া দিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণে বাধাগ্রস্থ হচ্ছেন। ফলে ফিরে যাচ্ছেন তারা। যে কারণে সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব।
নড়াইল থেকে একদল পর্যটক ছেলে মেয়েদের নিয়ে সুন্দরবনে এসে অতিরিক্ত ট্রলার ভাড়ার কারণে ফিরে যায়। ফরিদপুর থেকে আসা এক শিক্ষক এলাকার কিছু লোক নিয়ে সুন্দরবনে এসে কলাগাছিয়া যাওয়ার জন্য ট্রলার ভাড়া আড়াই হাজার টাকা চাওয়ায় ফিরে যেতে হয়েছে।
যশোর রেলগেট থেকে আসা এক পর্যটক কবীর হোসেন বলেন, পরিবার নিয়ে সুন্দরবনে এসেছিলাম কিন্তু অতিরিক্ত ট্রলার ভাড়ার কারণে যাওয়া হলো না। খুলনা ফুলতলা থেকে আসা কয়েক জন কিশোর জানায়, দোবেকী ভ্রমণ করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ৫ বছর আগে এসেছিলাম ২ হাজার টাকা ভাড়া নিয়েছিল এখন তা ৬ হাজার টাকা দাবি করছে। ফলে সুন্দর বনে না যেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।
এব্যপারে এক ট্রলার মাঝি মিজানুর রহমান বলেন, গত বছর করোনায় সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা ছিল যে কারণে আমরা আলোচনা করে সমিতি করেছি এবং সে মোতাবেক ভাড়া নিচ্ছি।
সুন্দর বন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এমএ হাসান বলেন, ট্রলার চালকদের অতিরিক্ত ভাড়া না নেয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু তারা না মেনে ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারেক আক্তার বলেন। নির্দিষ্ট কোন ভাড়া নেই। তবে ট্রলার চালকদের সাথে কথা বলে একটা সুব্যবস্থা করা হবে। দর্শনার্থীরা দ্রুত সমাধান দাবি করেছেন।