নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের অভয়নগরে ফুলতলার ব্যবসায়ী খন্দকার রাকিবুল হত্যা মামলার চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালতে। একই সাথে দামুখালী গ্রামের মৃনাল কান্তি হালদারের ছেলে তুহিন হালদারের রিমান্ড না মঞ্জুর করা হয়েছে। গতকাল যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদ এই আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, অভয়নগর উপজেলার দামুখালি গ্রামের মিলন হালদার, সুব্রত মন্ডল, পিযুষ মন্ডল ও দত্তগাতি গ্রামের সাইফুল আলম মোল্যা।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, খুলনার ফুলতলা উপজেলার আলকা গ্রামের বাসিন্দা খন্দকার রাকিবুল ইসলাম ফুলতলা বাজারে ফার্নিসারের ব্যবসা করতেন। সেই সাথে তিনি ফুলতলা বাজার বনিক সমিতির ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে রাকিবুল প্রেম করে পিয়ারী বেগম বর্ষা নামে একজনকে বিয়ে করেন। গত ১২ মে বিকেলে আছরের নামাজ শেষে বাইরে কাজ আছে বলে মোটরসাইকেল নিয়ে রাকিবুল বের হয়ে যায়। বাড়ি থেকে বের হয়ে তার স্ত্রী বর্ষাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে অভয়নগরের দত্তগাতি গ্রামের মিলন মেম্বরের কাছে পাওনা টাকা আনতে যায়। মিলন মেম্বরের সাথে কথা শেষে রাত ৮টার দিকে দত্তগাতি গ্রামের সরকারি প্রাথমিক স্কুলের কাছে হাবিবুল্লাহর বাড়ির সামনে পৌঁছানো মাত্র কয়েকজন লোক তার পথরোধ করে। প্রথমেই তার বুকে এবং পরে মাথায় গুলি করে। মাটিতে পড়ে গেলে এবং তার সাথে রাকিবুলের স্ত্রী বর্ষার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় রাকিবুলের সাথে থাকা তার স্ত্রীও গুলিবিদ্ধ হন। এরপর রাকিবুল ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিবুলকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বর্ষাকে চিকিৎসা প্রদান করে। পরদিন সেখান থেকে ময়না তদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের মা রহিমা বেগম অভয়নগর থানায় মামলা করেছেন।
এই ঘটনার মামলায় ১৩ মে আসামি মিলন হালদার ও সাইফুল আলম মোল্যাকে আটকের পর সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে। এরপর আসামি মিলন হালদার, সুব্রত মন্ডল ও তুহিন হালদারকে আটক করে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে মিলন হালদার ও সাইফুল আলমকে দুইদিন করে এবং পিযুষ ও সুব্রতকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সাথে তুহিন হালদারের রিমান্ড নামঞ্জুর করা হয়েছে।