কল্যাণ রিপোর্ট: যশোর শহরের ঘোপ সেন্টাল রোডের গৃহবধূ নুসরত বেগম হিমু আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলায় স্বামী আব্দুর রহমান মামুনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় দুইজনের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা অনুপম রায়। অভিযুক্ত আব্দুর রহমান মামুন ঝিকরগাছার বাদে নাভারন গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, হিমু গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ফকির হাটখোলা গ্রামের আবু বক্কারের মেয়ে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হিমুর সাথে পরিচয় হয় আব্দুর রহমান মামুনের সাথে। পরিচয়ের পর প্রেম। এরপর বছর দেড়েক আগে হিমু পরিবারের অমতে বাড়ি ছেড়ে চলে আসে মামুনের কাছে। তারা বিয়ে করে যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে ভাড়া থাকতো। প্রায় সময় মামুন কারণে অকারণে হিমুর ওপর নির্যাতন চালাতো। বিষয়টি হিমু মোবাইল ফোনে তার পিতা-মাতাকে জানাতো। হিমুর শাশুড়ি প্রায় সময় হিমুকে গলাই দড়ি দিয়ে মরার কথা বলতো। গত ২৪ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে হিমুর সাথে মামুনের ঝগড়া হয়। সে সময় মামুন কয়েকটি চড় থাপ্পড় মারে হিমকে। পরদিন সকার সাড়ে ১১টার দিকে মামুনের খালু মোবাইল ফোনে জানায়, হিমু আত্মহত্যা করেছে। হিমুর পিতা সংবাদ পেয়ে যশোরে এসে জেনারেল হাসপাতালে এসে মেয়ের মরদেহ দেখতে পান।
এ ব্যাপারে হিমুর পিতা আবু বক্কার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ীসহ তিনজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষিদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় স্বামী মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না প্রায়ায় হিমুর শাশুড়ি ও মারুফের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্ত মামুনকে আটক দেখানো হয়েছে।