নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে বিয়ের আট মাসের মাথায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছিলেন এক নারী। মঙ্গলবার ওই মামলার হাজিরার ধার্য তারিখ ছিলো। আসামি ও বাদীর উপস্থিতিতে শুনানি চলাকালেই বিচারকের নজরে পড়ে মেয়ের বয়স কম। বিচারক তাৎক্ষণিক দুই পক্ষের অভিভাবকদের ডাকেন। বাল্য বিয়ের কারণ জানতে চান। দুই পক্ষের কেউই সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় ছেলের বাবা ও মেয়ের মাকে শাস্তি স্বরূপ হাজতে পাঠান। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চৌগাছা আমলি আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম এক ঘণ্টা পর তাদেরকে মুক্তি দেন। মঙ্গলবার বিচারকের দেয়া ব্যতিক্রমি এ আদেশ আদালতপাড়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। সকলে বিচারকের প্রশাংসা করতে থাকেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ২৫ জুন যশোর সদর উপজেলার হাশিমপুর গ্রামের আসমত আলীর ছেলে সোহাগ হোসেনের সাথে চৌগাছা উপজেলার সর্বনন্দহুদা গ্রামের আলমগীর মৌলভীর মেয়ে আঁখি তারার বিয়ে হয়। বিয়ের মজলিসেই সোহাগ দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। তাৎক্ষনিক ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়। একমাস পর থেকেই বাকি দেড় লাখ টাকার জন্য মারপিট করে। বিয়ের আট মাসের মাথায় গত পহেলা ফেব্রয়ারি আঁখি তারা স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
অপর একটি সূত্র জানায়, ছেলের বয়স ২১ বছর হলেও মেয়ের বয়স আঠারোর কম। যা আদালতের দৃষ্টিতে আসে। তাদের যে বাল্য বিয়ে হয়েছে বিষয়টি আদালতে প্রতীয়মান হয়। ফলে আদালত দুই অভিভাবককে এ শাস্তি প্রদান করেন।