সাতক্ষীরার দেবহাটার নাজিবের ঘের স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীটির বাবা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির কাছে অভিযোগ করেছেন। তার মেয়েকে অভিযুক্ত শিক্ষক মাদরাসার একটি কক্ষে একা পেয়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এর পর হুমকি দিয়ে বলে এ কথা কাউকে বললে তাকে হত্যা করা হবে।
আমরা কথায় কথায় নৈতিক চরিত্র গঠনে ধর্মীয় শিক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কিন্তু আসলে কি ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করলেই নৈতিক চরিত্র গঠিত হয়। আমরা মনে করি কথাটা শতভাগ সঠিক নয়। তাই বলে আমরা ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ ও এর প্রচার প্রসারের বিপক্ষে নই। উন্নত নৈতিক চরিত্র গঠনে ধর্মীয় শিক্ষা অন্যতম মাধ্যম এতে কোনো সন্দেহ নেই। শুধু ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে কারো চরিত্র যে উন্নত করা যায় না তার প্রমাণ ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিতরাই রাখছে। সর্বশেষ প্রমাণ রাখলো দেবহাটার ওই মাদরাসার শিক্ষক।
আমরা জানি যারা কুরআন হাদিস নিয়ে মাদরাসায় লেখাপড়া করেন তারাই মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। তারা ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে মসলা মাসায়েল জানেন। কিন্তু দেবহাটার অভিযুক্ত শিক্ষক কি শিখেছেন। নাকি শিখলেও তিনি তা মানেন না। শিক্ষার জীবনের পুরোটা সময় সে তার ওস্তাদের কাছে পড়েছে। কি নৈতিকতা শিক্ষা সে পেয়েছে। সে মানুষকে ধর্মের অনেক কথা শুনিয়েছে। এই আলেম নামধারী জালেমদের মুখোশ একের পর এক খুলেই চলেছে। এতে আল্লাহ ভীরু সৎ আলেম সমাজও সন্দেহের মধ্যে পড়েছেন।
আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি দূর-দুরান্ত থেকে এভাবে কিছু ছিন্নমূল মানুষ এসে মানুষের ধর্মানুভূতিকে পূঁজি করে এ ধরনের কাজ একের পর এক করেই যাচ্ছে। ধর্মের মর্মবাণী এদেরকে স্পর্শ করতে পারছে না। আসল কথা হলো পরিবার হচ্ছে সর্বোত্তম পাঠশালা। এই পরিবার থেকে যদি শিক্ষাটা না আসে তাহলে যে বিষয়ে যত শিক্ষাই গ্রহণ করা হোক না কেন আসল শিক্ষায় ঘাটতি থেকে যায়। আজ যে সব লেবাসধারী আলেমরা এ ধরনের অপরাধ করছে তাদের পারিবারিক খবর নিলে খারাপ চিত্রই আসবে বলে আমাদের ধারণা। ধর্মীয় শিক্ষায় উন্নত নৈতিক চরিত্র গঠিত হয় এ কথা ঠিকই, কিন্তু এ শিক্ষাটা পারিবারিক পরিমন্ডল থেকে শুরু হতে হবে।