জেমস রহিম রানা ও মনিরুজ্জামান মনির: জমে উঠেছে যশোরের কচুয়া ইউপি নির্বাচনী প্রচারণা। চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রার্থী দিনরাত চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রচার প্রচারণা।
প্রার্থী এবং ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচন যদি শান্তিপূর্ণ হয় তবে এই ইউনিয়নে লড়াই হবে ত্রিমুখী। কচুয়ায় নৌকা প্রতীক পেয়েছেন লুৎফর রহমান ধাবক। এখানে আওয়ামী লীগ কর্মী শেখ মাহমুদ হোসেন (মোটরসাইকেল) ও ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশীদ (চশমা) স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া প্রার্থী রয়েছেন যুবদল নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ (অটোরিক্সা), হাফিজুর রহমান খান (আনারস), হাফিজুর রহমান (ঘোড়া), ইসলামী আন্দেলন বাংলাদেশের বাবুল হুসাইন (হাতপাখা)।
মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান জানান, ২০০৯ সালে গাছ লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কৃত হয়েছেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ আমি ২ হাজার ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হবো। আওয়ামী লীগের কোন পদে নেই, ফলে আমি দলীয় মনোনয়ন চাইনি। তবে আমার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলো স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশীদ।
তিনি বলেন, নৌকা ক্ষমতাশীন দলের প্রতীক হলেও প্রার্থী নির্বাচনে দলীয় নেতাদের একচোখা নীতির কারণে মানুষ তাদেরকে বর্জন করেছে। অতএব নৌকা মার্কার সাথে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে বলে আমি মনে করিনে। আমার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসার মতো তেমন কোন প্রার্থী নেই।
তিনি আশংকা প্রকাশ করেন, এই ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতা না হলেও নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সহিংসতার কথা শুনতে পাচ্ছি। কোন কোন কর্মী সমর্থক ভোটারদেরকে কেন্দ্রে গিয়ে তাদের সামনেই ব্যালটে ছিল মারতে হবে বলে শাসাচ্ছেন।
একইভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী অটোরিকশা প্রতীকের আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার বাধাগ্রস্থ হয়নি। তবে কোন কোন জায়গায় বিভিন্ন রকম কথা শোনা যাচ্ছে। আমার নেতাকর্মীদের বলছে তোমাদের নৌকার প্রচার প্রচারণা করতে হবে। তিনি বিএনপির যুবদলের কর্মী ছিলেন। এদিক থেকেও তিনি কোন বাধাগ্রস্ত হননি। কিন্তু অন্যান্য প্রার্থীদের কিছু কিছু কর্মীরা অপপ্রচার করে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে আমাদের এখানে যে প্রার্থীগুলো আছে সকলের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক আছে। তিনি আরও বলেন, প্রার্থী হিসেবে আমি নতুন। আমি জনগণের জন্য কিছু করতে চাই। যেহেতু চেয়ারম্যানের হাত থেকে ইউনিয়নের বরাদ্দ হয়, সেহেতু আমি এই বরাদ্দ সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। এই কারণেই আমি প্রার্থী হয়েছি।
এদিকে, ফতেপুর ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচারণায় বহিরাগতদের আগমন ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পার্শ¦বর্তী উপজেলার লোক ভাড়া করে এই ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন এক ধনাঢ্য প্রার্থী। এমন অভিযোগ ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও ভোটারদের।
এই ইউনিয়নের নৌকার মাঝি সোহরাব হোসেন জানান, ভোটাররা যদি ভোট দিতে সঠিক পরিবেশ পায় তাহলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত।
তার অভিযোগ এক স্বতন্ত্র প্রার্থী বহিরাগত লোক নিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, অন্য ইউনিয়ন থেকে লোক এনে মিছিল-মিটিং করে যাচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে ওই প্রার্থীর কাছে জানতে চাইলে তিনি নানা অজুহাত দেখিয়ে সাক্ষাৎ করতে চাননি।
এদিকে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের নির্বাচনের দায়িতপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার শেখ সাজ্জাদ হোসেনে জানান, বহিরাগতদের দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার লিখিত কোন অভিযোগ তিনি পাননি। তবে যদি কোন প্রার্থী লিখিতভাবে অভিযোগ দেন তাহলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।