নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ইয়েলো জোনে উপসর্গ নিয়ে এক রোগী মারা গেছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করে ২০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে ১১৬ জনের, র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষা করে ৮৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় জেলায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৯৫।
বৃহস্পতিবার যশোর সিভিল সার্জন সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। এদিকে, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতিমধ্যেই সীমান্তবর্তী এই জেলাকে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করেছে।
যশোর সিভিল সার্জন ও যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে নমুনা পরীক্ষা করে ২০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টার জেলার ২৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১৬ জন, ১৭৩ জনের র্যাপিট এন্টিজেন্ট পরীক্ষা করে ৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্তরা হলেন যশোর সদরের ১৫৯ জন, অভয়নগরে ১ জন, চৌগাছায় ৭ জন, ঝিকরগাছায় ২৬ জন, কেশবপুরে ৫ জন, মণিরামপুরে ২ জন ও শার্শায় ৪ জন। এছাড়া বৃহস্পতিবার ভোর রাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ইয়েলো জোনে উপসর্গ নিয়ে এক রোগী মারা গেছেন। বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালের রেড জোনে চার জন, ইয়েলো জোনে ১০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
যশোরের সিভিল সার্জন ডাঃ বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, শহর-গ্রামে সবখানেই সংক্রমণের হার বাড়ছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ স্বাস্থ্যবিধি না মানা। যথাসময়ে টিকার ডোজ গ্রহণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক ব্যবহার, জনসমাগম এড়িয়ে চলাসহ সতর্ক থাকলে করোনা থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব। প্রসঙ্গত, জেলায় করোনা শুরু থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৩ হাজার ৪৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২১ হাজার ৪৩৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৫১৮ জন।