নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর সদর উপজেলার রামনগর পুকুরকুলের তারিক হাসানের বাড়িতে চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে আরো তিনটি বাড়ির চুরির সাথে জড়িত দুই যুবককে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। তাদের কাছ থেকে চোরাই বিভিন্ন পণ্য উদ্ধার করেছে।
আটক দুই যুবক হলো, যশোরের উপশহর কলাবাগান বস্তির মিলনের বাড়ির ভাড়াটিয়া বিপ্লব কাজী (৩০) এবং পূর্ব বারান্দীপাড়া ঢাকা রোড এলাকার খালেদ মাহমুদ রাতুল ওরফে বড় মনি (৪০)। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত নড়াইল সদর উপজেলার ডুমুরদিয়া গ্রামের সুমন (৪০) নামে অপর এক যুবক পলাতক রয়েছে।
ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ৩০ অক্টোবর রাতে শহরতলীর রামনগর পুকুরকুলের তারিক হাসানের বাড়িতে চুরি হয়। চোরচক্র ওই বাড়ি থেকে তিনটি মোবাইল ফোনসেট, একটি পেন ড্রাইভ, একটি সোনার চেইন এবং দুইটি মানিব্যাগে থাকা ৭ হাজার ৬০০ টাকাসহ মোট ৬৬ হাজার ৩৯০ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিপ্লব কাজী ও বড় মনিকে আটক করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা রামনগর গ্রামের আরো তিনটি বাড়িতে চুরির কথা স্বীকার করে। ওই গ্রামের শামীম রেজা, শুকুর আলী ও সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে চুরির কথা স্বীকার করে। বিপ্লব কাজী পুলিশকে জানায়, চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি শামীম রেজার বাড়িতে চুরি করে তারা। ওই বাড়ি থেকে তিন সোনার আংটি ও নগদ দেড় হাজার টাকা নিয়ে যায়। আর শুকুর আলী ও সিরাজুল ইসলামের বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনসেট চুরির কথা জানায়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেক শেখহাটি হাইকোর্ট মোড়স্থ শাহী সুপার মার্কেটের মনদ্বীপ জুয়েলার্স থেকে একটি সোনার লকেট, শামীম রেজার বাড়ি থেকে চুরি হওয়া ৩টি সোনার আংটি গত বৃহস্পতিবার উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
এসআই মফিজুল ইসলাম আরো জানিয়েছেন, ওই চোরচক্রটি এই পর্যন্ত ৮-১০টি বাড়িতে চুরি করে চোরাই পণ্য বিক্রি করে তারা নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি করে নেয় বলে স্বীকার করেছে।