কল্যাণ রিপোর্ট
মাদক, চোরাচালান ও চেক ডিজঅনারের ৫০ মামলার রায় ঘোষণা করেছে একটি আদালত। রায়ে ৩১ মামলায় ৩২ আসামিকে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও ১৯ মামলার ১৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার যুগ্ম দায়রা জজ ২য় ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ৭ এর বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস আলাদা আলাদা রায়ে এ সাজা ও খালাস দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ১২ জন প্রবেশনে মুক্তি ও ১ জন কারাগারে আটক আছে। বাকি সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক রয়েছে। এপিপি অ্যাডভোকেট লতিফা ইয়াসমীন (কমল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চোরাচালান দমন আইনের মামলার মধ্যে ফেনসিডিল চোরাচালান মামলায় বেনাপোলের কাগমারী গ্রামের আকরাম আলীকে ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত আকরাম আলী কারাগারে আটক আছে।
টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর থানার যদুরগাটি গ্রামের আব্দুল আজিজ মাস্টারের ছেলে রাজিব হোসেনকে সাজা দিয়ে ১ বছরের প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছে।
বেনাপোলের গাতিপাড়া মাঠপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলামকে ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের সশ্রম কারাদেন্ডর আদেশ দেয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত জহিরুল ইসলাম পলাতক আছে।
বেনাপোলের বলফিল্ড এলাকার ভাড়া বাসিন্দা সাতক্ষীরা শ্যমনগরের নিলডুমুর বুড়ি গোয়ালিনি গ্রামের মৃত খোরশেদ মোল্লার ছেলে আব্দুল মজিদ মোল্লাকে ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদেয় আরও ১ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ পলাতক আছে।
চেক ডিজঅনারের ২২ মামলার মধ্যে রায়ে শার্শার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলেকে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
যশোর শহরতলীর শেখহাটির শাহীন মাহমুদকে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়।
তরফ নওয়াপাড়ার মৃত আফছার আলী সরদারের ছেলে আশরাফ হোসেনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৬৯ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা কারা হয়।
ঢাকা মতিঝিলের ৬ সি/এ বাসিন্দা এম আশরাফ আলীর ছেলে একে আজাদকে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঝিরকরগাছার পুরন্দরপুর গ্রামের মৃত আক্তার আলীর ছেলে শেখ আব্দুল ওয়াহীদকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৯৩ হাজার ৯৫১ টাকা জরিমানা করা হয়।
নড়াইলের লোহাগাড়ার জয়পুর গ্রামের নগেন বিশ্বাসের ছেলে মিলন বিশ্বাসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়।
অভয়নগরের বিভাগদি গ্রামের ক্ষিতিশ হালদারের ছেলে গোবিন্দ হালদারকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১ লাখ ২০ হাজার ১৩০ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়।
পাবনার ঈশ্বরদীর মৃত রওশন আলম হায়দারের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াকুবকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৯৫ হাজার ৫শ’ জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।
ঝিনাইদাহ কালীগঞ্জের বুজিডাঙ্গা মুন্দিয়া গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে আব্দুস সবুরকে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।
চৌগাছার আফরা গ্রামের রহমত হোসেনের স্ত্রী মিনারা বেগমকে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচরাক।
যশোর সদরের রুদ্রপুর গ্রামের আহম্মদ আলীর স্ত্রী ফিরোজা খাতুনকে ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৪৫ হাজার ৮শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভয়নগরের পালপাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলামকে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৮৩০ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
কুষ্টিয়া মিরপুরের পুরাতন বাজারের মৃত মেহের আলী মন্ডলের ছেলে মনোয়ার হোসেন মানুকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৪৯ হজার ৪৪২ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।
খুলনা বিকে মেইন রোডের পূর্ব বানিয়া খামার এলাকার সায়েদ আলীর ছেলে জিএম আব্দুল ওহাবকে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২৬ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, ২২ মাদক মামলার মধ্যে সাজা দিয়ে প্রবেশনে মুক্তিপ্রাপ্ত আসামিরা হলো বেনাপোলের কেলেকান্দা গ্রামের মোস্তফার ছেলে মিলন। সাদীপুর গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া। গাজীপুরের হিম্মত খানের ছেলে সালাহউদ্দিন খান। গাজীপুর গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে বকুল হোসেন। গয়ড়া গ্রামের সাহাজুল ইসলাম সাজুর স্ত্রী মাজেদা খাতুন। বড় আঁচড়া গ্রামের অশোক দের ছেলে চঞ্চল দে।
যশোর শহরতলীর কিসমত নওয়াপাড়ার মৃত মোজাম মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম নান্নু। চৌগাছার চাঁদপুর গ্রামের শাহাদৎ হোসেন ঢালীর ছেলে আতিয়ার রহমান ঢালী। ঝিরকগাছার শিয়ালখোলা গ্রামের গ্রামের ফিরোজ উদ্দিনের ছেলে আসাদুজ্জামান রনি, বল্লা গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম ও ফুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ইমদাদুল। বাকি ১৯ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দিয়েছেন।