কল্যাণ রিপোর্ট : তাঁতী লীগের সাবেক নেতা আব্দুর রহমান কাঁকন হত্যা মামলায় আটক জিতুকে আদালতে পাঠিয়েছে সিআইডি পুলিশ। জিতু হত্যাকান্ড সম্পর্কে আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। আদালত জিতুর জবানবন্দী ১৬৪ ধারায় রেকর্ডও করেছে।
জিতু যশোর শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম সিরার ছেলে। তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করে যশোরে নিয়ে আসে পুলিশ।
আজ শুক্রবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইনের আদালতে জিতু স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আদালত তার জাবানবন্দী রেকর্ড করেছে। সিআইডি যশোর জোনের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার জিতুকে কাঁকন হত্যা মামলায় আাটক করা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। তাকে শুক্রবার আদালতে হাজির করা হলে সে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। কি কারণে কাঁকনকে হত্যা করা হয়েছে তাও জবানবন্দীতে উল্লেখ করেছে জিতু।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি যশোর জোনের পরিদর্শক মনিক চন্দ্র গাইন জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে জিতুকে আদালতে পাঠানো হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
গত ১৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়ার কবরস্থান মোড়ে ছুরিকাঘাতে হত্যার শিকার হন তাঁতী লীগের নেতা কাঁকন। তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার চরভদ্রশন গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। মৃত্যুর আগে যশোর শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়া কবরস্থানের পূর্বপাশের রাজু আহমেদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।