কল্যাণ রিপোর্ট
মঙ্গলবার যশোরের কেশবপুরের টিটা বাজিতপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে ভুক্তভোগী সেলিম রেজ বাদী হয়ে ৩০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে অপহরণ ও হাত-পা এবং চোখ বেঁধে মারপিটের অভিযোগে ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়া আদেশ দিয়েছেন পিবিআইকে।
আসামিরা হলো কেশবপুর টিটা বাজিতপুর গ্রামের মাজিদ সরদারের ৪ ছেলে মনিরুজ্জামান মিলন, তরিকুল ইসলাম, তবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর সরদার, আব্দুল আজিজ সরদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম, তরিকুল ইসলামের ছেলে তুহিন হোসেন, মহিউদ্দীনের ছেলে মাসুম, আকবর আলীর ছেলে মাসুম বিল্লাহ রিপন ও আকবর আলী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, সেলিম রেজা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একজন সাব-ঠিকাদার। বর্তমানে সিরাজগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইনের কাজ করছেন। তিনি নিজ এলাকা থেকে শ্রমিক নিয়ে সিরাজগঞ্জে কাজ করে থাকেন। কাজ শেষে বিল পেয়ে তিনি শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য কেশবপুরে বাড়িতে আসেন।
মামলার আসামিরা সেলিম রেজার কাছে দীর্ঘদিন ধরে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা তাকে খুন করে লাশ গুম করে দেয়ার হুমকি দেন। গত ১১ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য সেলিম রেজা নগদ ৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বের হন। সাথে তার কাছে নিজ নামীয় অগ্রণী ব্যাংকের চেকের ৮টি পাতা ছিলো।
পথে ভান্ডারখোলা বাজারের জাহাঙ্গীর আলমের দোকানের সামনে পৌঁছালে আসামিরা চাকু, লোহার হাতুড়ি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর চড়াও হন। তারা এ সময় তার কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেন। এরপর তারা তার কাছ থেকে মোটরসাইকেল, নগদ ৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা ও ব্যাংকের ৮টি চেকপাতা ছিনিয়ে নেন। পরে তাকে স্থানীয় গোলাঘাটা শ্মশানে নিয়ে যান সেখানে তার চোখ, হাত ও পা বেঁধে মারধর করা হয়। এরই মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা হয়। পুলিশ সেলিম রেজাকে উদ্ধার এবং স্থানীয় ইউপি মেম্বারের কাছে হস্তান্তর করে। তিনি সুস্থ হয়ে আদালতে এ মামলা করেছেন।