ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঘর্মাক্ত কলবরে নিশ্চুপ মনে করছেন কৃষিকাজ। নীলমণির রক্তে ছোট্ট বেলা থেকেই মিশে আছে পরিবারের সাথে ধান কাটা ও নিড়ানোসহ কৃষিকাজ। শৈশবের দুরন্ত মুহূর্তে বন্ধুদের চেয়ে পরিজনদের সাথে বেশি সময় দিয়ে রপ্ত করেছেন এই কাজগুলো। যা আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেও ছাড়েননি। ধান কাটার মৌসুমে বাড়িতে থাকলে, নিজ বাড়ির কাজ না থাকলে অন্যদের জমিতে এসব কাজ করে অর্থ আয় করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারে অধ্যায়ণরত।
২০১৮ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন নীলমণি। তখন বিভিন্ন প্রতিবেদনে তার উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তারপর চাকরির আশায় কম্পিউটার শিক্ষায় ভর্তি হন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের জুগিডাইং গ্রামের বাসিন্দা নীলমনি কিসকু। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি বলে কি মাঠে কাজ করবো না? অভাব অনটনের পরিবারে এসব আবেগী কথা মানায় না। অন্যদিকে সাঁওতাল মেয়েদের এসব খুবই নিয়মিত কাজ। জীবনের প্রয়োজনেই এখনও এসব করতে হচ্ছে। ছোট্ট বেলা থেকে এখন পর্যন্ত অনেক কষ্ট করেই লেখাপড়া করেছি।
তার বাবা কিসকুর বলেন, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে এই নিয়ে আমাদের মধ্যে কোন আনন্দ নেই। সে বাড়িতে থাকার সময় আমাদের সব কাজ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, সুরধ্বনি কিসকুও নামে নীলমণীর বোন আছে। সে বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রীড়া ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছে। অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে দেশ-বিদেশে খেলার সুযোগ পেয়েছে।