ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত দেওয়া হবে এমনটাই জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যখন ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সঙ্গে দেখা হয় তখন আমি খালেদা জিয়ার বিদেশ চিকিৎসা নিয়ে ভুলের বিষয়টি হাইলাইট করেছি এবং পরিষ্কারভাবে আইনের ব্যাখ্যা দিয়েছি। খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি ও তিনি যে মুক্ত, আইনিভাবে তার যে অবস্থান, আমি সেটা তাদেরকে বুঝিয়েছি। আমার সঙ্গে কয়েকদিন আগেই আলোচনা হয়েছে এবং তারা বলেছে এই জায়গায়টা তারা কারেকশন করবে।
বিএনপি খালেদা জিয়া ইস্যুতে যে কয়বার মতামত চেয়েছে, তা ৫/৭ দিনের মধ্যে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এবার প্রায় ৪০ দিন হতে চললো এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমার কাছে হাইকোর্টের বিএনপি সমর্থিত ১৫ জন আইনজীবী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেখানে কোথাও আইনি কোনো সাপোর্ট আছে কিনা সেটা আমি দেখব ও দেখেছি। হাইকোর্টে দেওয়া তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট কোনো আইনি সাপোর্ট আমি পাইনি। তারা যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা কোনো আদালতই সাপোর্ট করেননি। বরং আমি যে বক্তব্য সংসদে দিয়েছি অনেক রায়ে তাকেই সমর্থন করা হয়েছে।
তাহলে কি খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরাসরি সরকার কোন ব্যবস্থা নিয়েছে?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি খবু শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ের অভিমত দিয়ে দেবো। মানবিক কোনো বিবেচনার সুযোগ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, আমাকে আইনের দিক থেকে দেখতে হবে। তার কারণ সরকার কোন আরবিট্ররি পদক্ষেপ নিতে পারে না। বরং সরকারকে যে পদক্ষেপ নিতে হয়, সেটা আইনি পদক্ষেপ। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মানবিক পদক্ষেপ যেটা ছিল সেটার অভিব্যক্তি হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারা অনুযায়ী দণ্ড স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।