খুলনা ব্যুরো ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বিভাগীয় শহর খুলনায় বুধবার থেকে জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ২১ জুন পর্যন্ত চলবে। এ উপলক্ষে সকালে নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, সঠিক তথ্য ও নিভুল জনশুমারির কোন বিকল্প নেই। দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই জনশুমারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে জনশুমারি ও গৃহগণনায় অন্তর্ভূক্ত হওয়া বাংলাদেশের সকল নাগরিকের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার পূরণ ও সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি সকল নাগরিককে প্রয়োজনীয় ও সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহবান জানান। সবার চেষ্টা ও স্বত:ষ্ফুর্ত অংশগ্রহণে এই শুমারি সফল হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠানে কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মন্ডল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। খুলনা বিভাগীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের যুগ্মপরিচালক আশরাফুল আলম সিদ্দিকী এতে সভাপতিত্ব করেন। সরকারের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
এদিকে সাতক্ষীরায় বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে উদ্বোধণী র্যালির মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির। র্যালিটি শহরের প্রধাণ প্রধাণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় র্যালিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা বশির উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব কাজী আরিফুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
সাতক্ষীরা জেলার ৭টি উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌর সভায় ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার জন্য ৪ হাজার ৯২৭ জন গণনাকারী, ৮২৯জন সুপাভাইজার, ৪৭জন জোনাল অফিসার, ৭ জন উপজেলা জনশুমারি সম্বনয়কারি ও ২জন জেলা জনশুমারি সম্বনয়কারী কাজ করছেন। ১৫ই জুন সকাল ৮টা থেকে ২১ শে জুন রাত্র ১২টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।