নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘বন সংরক্ষণের অঙ্গীকার টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহার’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সোমবার যশোরে আন্তর্জাতিক বন দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। এরপর জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে সামাজিক বন বিভাগ যশোরের আয়োজনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় সামাজিক বন বিভাগ যশোরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ পরিচালক দীপঙ্কর দাশ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের বনাঞ্চলগুলো দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সম্পদ। প্রতিটি বন তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে বন্যপ্রাণী ও অন্যান্য সম্পদের আধার হিসেবে কাজ করছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বনজ সম্পদের ওপর নির্ভর করেই বেঁচে আছে এদেশের অসংখ্য মানুষ। কিন্তু বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের বন ও পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। ক্রমবর্ধমান হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ, প্রাকৃতিক বন উজাড় ও ভিনদেশী আগ্রাসী উদ্ভিদের কারণে বনাঞ্চলের পরিমাণ কমে আসছে। তাই বনাঞ্চল সংরক্ষণে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। একই সাথে গাছ কাটার ব্যাপারে সরকারি যে নীতিমালা আছে সেটা মেনে চলতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে সুন্দরবন আমাদেরকে মায়ের মতো আগলে রেখেছে। বাংলাদেশের বড় সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো থেকে রক্ষা করেছে । তাই বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে এবং তার পরিচর্যা করতে হবে।
আলোচনা শেষে সামাজিক বনায়নে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে সংযোগ সড়ক বাগানের আওতায় যশোরের অভয়নগরের ২৩ উপকারভোগীকে জনপ্রতি ৩৬ হাজার ৪৪৩ টাকা ও ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ২১ উপকারভোগীকে জনপ্রতি ১৫ হাজার ৫৪৫ টাকার চেক প্রদান করা হয়।