কল্যাণ রিপোর্ট: যশোর সদরের চাঁচড়ার ভাতুড়িয়ায় নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে হামলা-পাল্টা হামলা হয়েছে। শুক্রবার মিছিল চলাকালে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এদিন বিকেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ছুরিকাঘাতে ও মারপিেেট দুইজন আহত হয়। তারা যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে নৌকা প্রতীকের প্রচার মিছিল চলছিলো। মোবাইল ফোনে মিছিলের ভিডিও ধারণ করার সময় জিহাদ গাজীকে (১৭) ছুরিকাঘাতে জখম করা হয়। পাল্টা হামলায় এ সময় রিয়াজুল ইসলাম বাবু নামে আরেকজন আহত হন। তবে হামলা-পাল্টা হামলা নিয়ে পরস্পর বিরোধী অভিযোগ করা হয়েছে। আহত জিহাদ চাঁচড়া গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে। অপরজন চাঁচড়া পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা।
চিকিৎসাধীন জিহাদ জানায়, ‘শুক্রবার বিকেলে নৌকা প্রতীকের পক্ষে মিছিল বের হয়। আমি মোবাইল ফোনে মিছিলের ভিডিও করছিলাম। এসময় মিছিল থেকে হাসান নামে একজন আমাকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. আব্দুর রশিদ জানান, আহত জিহাদ আশংকামুক্ত। সার্জারি মডেল ওয়ার্ডে তার চিকিৎসাসেবা চলছে। অপরজন রিয়াজুল ইসলাম বাবু সামান্য আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাকেও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জিহাদকে ছুরিকাঘাতের প্রতিবাদ করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের সমর্থকরা। তারা এঘটনার প্রতিবাদে মিছিল নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় স্বতন্ত্র প্রতীকের শামীম রেজা, মাস্টার ওয়াজেদ আলী, আনোয়ার হোসেন আনু, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ফুলসহ স্থানীয় লোকজন কোতোয়ালি থানায় যান।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিম রেজা পান্নু। তিনি দাবি করেন, তার প্রচার মিছিল বের হয়েছিল। মিছিলটি ভাতুড়িয়ায় পৌঁছালে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম রেজার কর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় তার কর্মী রিয়াজুল ইসলাম বাবু মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় তিনি গাড়িতে ছিলেন। ইট-পাটকেল ছুড়ে তার গাড়ির গ্লাস ভেঙে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আনারস প্রতীকের সমর্থকরা তার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন জুড়ে নানা প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। জিহাদ হোসেন নামে যে যুবককে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না।
কোতয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।