বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি :
সোমবার গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার একটি গ্রামে বাড়িতে চুরি করতে এসে চোর গৃহবধূকে (২৩) ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গৃহবধূর পরিবারের দাবি, ধর্ষণের পর বাড়িতে থাকা ৪৭ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে চোর।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় চুরি ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটক যুবকের নাম সজল মল্লিক (২৫)। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ওই গৃহবধূর স্বামী নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। তাদের এক শিশুসন্তান আছে।
ওই গৃহবধূর স্বামী সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতের খাবার খেয়ে তিনি নৈশপ্রহরীর কাজে চলে যান। পরে তার স্ত্রী শিশুসন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দিবাগত রাত দুইটার দিকে চুরি করতে এসে এক ব্যক্তি ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্রের মুখে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই ব্যক্তি ঘরে থাকা ৪৭ হাজার টাকা, তার স্ত্রীর কানের সোনার দুল ও গলার একটি চেইন নিয়ে পালিয়ে যান। মঙ্গলবার ভোরে তার স্ত্রী ফোন করে ঘটনা জানালে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান।
গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ, চাচাতো ভাই সজল মল্লিকের সঙ্গে জমি নিয়ে আগে থেকেই তার বিরোধ আছে। সেই বিরোধের জেরে সজল বাইরে থেকে ভাড়া করা লোক এনে তার স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছেন। তার স্ত্রী অভিযুক্ত ধর্ষককে চিনতে পেরেছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) সুপার মাহমুদ হাসান বলেন, এক বাড়িতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি চুরি করতে এসে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে সজল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। আর গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।