কল্যাণ রিপোর্ট
কেশবপুরের দেউলী গ্রামের লুৎফর রহমান ও হাবিবুর রহমানদের জালজালিয়াতি ও দোকান দখলের ষড়যন্ত্রে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা। আদালতের আদেশ অমান্য করে ষড়যন্ত্রকারীরা মেয়রের ভাগ্নের নেতৃত্বে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। রোববার প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তোভোগী ১০ ব্যবসায়ী।
উপস্থিত ছিলেন, আল মামুন, কুলছুম বেগম, কামরুল ইসলাম, সুব্রত কুমার, আয়ুব আলী, অরুন কুমার, আলমগীর হোসেন, হাসান আলী, আইয়ুব বিশ্বাস, আলাউদ্দিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মামুনের শ্যালিকা শারমিন আক্তার বলেন, ১৯৬২ সালের পর্চা অনুযায়ী আলতাপোল মৌজার ১৩৯৯ নম্বর এসএ খতিয়ানে ২০৩, ২০৪, ২০৫ নম্বর দাগের ৫৬ শতক জমির মালিক নিবারণ চন্দ্র সরকারের স্ত্রী গন্ধেশ্বরী দেবী। ১৯৭৩ সাল থেকে ৫৬ শতক জমির মধ্যে ২৭ শতক জমির উপর ১৫ জন ব্যবসায়ী মাসিক ভাড়াটিয়া হিসেবে দোকান ঘর তৈরি করে ব্যবসা করছেন। সেই সময় গন্ধেশ্বরী দেবীর ছেলে বৈদ্যনাথ সরকারকে ভাড়া দিতেন ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীরা। বৈদ্যনাথ সরকারের মৃত্যুর পর তার ছেলে কার্তিক চন্দ্র সরকার ও গনেশ চন্দ্র সরকারকে ভাড়া দেয়া হতো। এরই মধ্যে ১৯৭৯ সালে কার্তিক চন্দ্র সরকার ও গনেশ চন্দ্র সরকার সপরিবারে ভারত চলে যান। এরপর আর কোন ভাড়া দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, জমির মালিক না থাকায় ১৯৯৭ সালে ১৫০ ধারার মামলা করেন সহকারী ভূমি কমিশনারে। অভিযোগে তদন্ত রিপোর্টের উপর শুনানি শেষে ওই দুইজনের কোন ওয়াশের না থাকায় ব্যবসায়ীদের নামে জমির পর্চা করে দেয়ার আদেশ হয়। ২০০০ সালে মাঠ জরিপের দখল স্বত্ত্ব অনুযায়ী ১৫ জনের নামে উক্ত জমির মাঠ পর্চা করা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় প্রভাবশালী মহল উক্ত জমি নিজেদের দাবি করায় আমরা ব্যবসায়ীরা আদালতের স্মরণাপন্ন হই।
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে কেশবপুর উপজেলার দেউলী গ্রামের লুৎফর রহমান ও হাবিবুর রহমান এ জমি নিজেদের দাবি করে দখল নেয়ার চেষ্টা করে আসছে। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করা হয়। আদালত এ মামলার প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পবিচালনা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেশবপুর থানার ওসিকে আদেশ দেন। তারপরও ১৭ ডিসেম্বর মেয়রের মেয়রের ভাগ্নে আলমগীর সিদ্দিকী টিটু, লুৎফর, হাবিুবুর, এনামুল হক বাবুসহ ৩০/৩৫ জন সন্ত্রাসী এ জমির উপরের একটি হোটেলে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহন করেনি। ফলে হামলাকারীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই ১০ ব্যবসায়ী। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা।