সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
কেশবপুর প্রতিনিধি: সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টার ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জি এম গোলাম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাজীব চৌধুরী। রোববার যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে তিনি এ মামলা করেন। যার নং- সি আর ২৭১/২২।
মামলা থেকে জানা যায়, সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনে যাতায়াতের জন্য পূর্বপ¦াশে একটি সিঁড়ি রয়েছে। প্রধান শিক্ষক জি এম গোলাম হোসেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের না জানিয়ে গোপনে ওই সিঁড়ি ভেঙে পশ্চিম পাশে নতুন করে সিঁড়ি নির্মাণের জন্য প্লান তৈরি করে। ওই প্লানে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী যশোর বরাবর প্রেরণ করেন তিনি। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কর্মকর্তা ৩১ মে বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এসময় প্রধান শিক্ষকের নিকট জানতে চাইলে তিনি নিজে স্বাক্ষর করেছেন জানিয়ে এবিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে সভাপতি রাজীব চৌধুরীকে খুন জখম করা হবে বলে হুমকি প্রদান করেন। পরবর্তীতের হুমকি অব্যাহত থাকায় নিরুপায় হয়ে রাজীব চৌধুরী কেশবপুর থানায় ১১ জুন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। যার নং- ৪৯৯। পরে সভাপতি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে আদালতের আশ্রয় নেন।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাজীব চৌধুরী বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আমার স্বাক্ষর জাল করেন প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি তিনি নিজেও শিকার করেছেন যার প্রমাণ আছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি। কিন্তু ফল না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে যশোর আদালতে মামলা করেছি।
প্রধান শিক্ষক জি এম গোলাম হোসেন বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। তিনি বিভিন্ন সময়ে স্কুলে এসে অর্থ দাবি করেন । টাকা না দেওয়ায় সভাপতি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার জানান, উন্নয়ন কাজের জন্য অনেক কিছু করতে হয়। বিষয়টি অনেক আগেই নিরসন হয়ে গেছে। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ির কথার কোন যুক্তি নেই। তারপরও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা চলছে।