ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: হাবিবুর রহমান হাবিব চাকরি করেন কার্যসহকারী পদে। কিন্তু নামে বেনামে গড়েছেন অঢেল সম্পত্তি। শহরের বিভিন্ন স্থানে জমি আর আলীশান বাড়ি।
আরাপপুরের এক দোকান ব্যবসায়ী জানান, জেলা পরিষদের কাছ থেকে কম টাকায় জমি লিজ নিয়ে পৌর মার্কেট বানিয়ে তাদের কাছ থেকে ১০-১৫ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। আসাদুজ্জামান নামে একজন অভিযোগ করেন, তার কাছ থেকে বাড়ির প্ল্যান পাশ করার জন্য ঘুষ নেন হাবিব। চাহিদা মাফিক ঘুষ দিলে জমির প্ল্যান পেতে মাত্র ২৪ ঘন্টা লাগে হাবিবের কাছে।
আদর্শপাড়ার মামুন নামে এক যুবক অভিযোগ করেন, তার জমি নিয়ে বিচার ছিল পৌরসভায়। সেখানে হাবিব প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে উল্টো প্রতিবেদন দেন।
হাফিজুর রহমান নামে একজন জানান, ঝিনাইদহ পৌরসভার নাগরিকদের নাজেহাল করে ছাড়েন হাবিব। পৌরসভায় কাজে আসা প্রতিটি মানুষ তার প্রতি ক্ষুব্ধ।
কার্যসহকারী হাবিবুর রহমান বলেন, দোকান বরাদ্দের টাকা দিয়ে ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছিল। সে কারণে এই টাকা পৌরসভার ফান্ডে নেই। আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে তার কোন সত্যতা নেই। আমার কোন অবৈধ সম্পদ নেই। এ সব আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই না।