কল্যাণ রিপোর্ট : নিম্নচাপের কারণে ভারী বৃষ্টিতে যশোরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। আজ সোমবার দিনভর মুষলধারে বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে আজ (০৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও চট্রগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী (২২-৪৩ মি.মি.) থেকে ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) বর্ষণ হতে পারে।
সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে এবং বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কি. মি. বেগে অস্থায়ী দমকাঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বাইরে বের হয়ে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে শহরবাসীকে। বৃষ্টিতে কিছু রাস্তার আশপাশের পুকুর উপচে সেই পানি রাস্তায় উঠে আসে। পানির সঙ্গে ভেসে যায় পুকুরের মাছ। শৌখিন মাছশিকারিরা রাস্তায় বড়শি আর জাল নিয়ে নেমে পড়েছেন মাছ ধরতে।
শহরের শংকরপুর, খড়কি, বেজপাড়া, বারান্দিপাড়া, পিটিআই রোড, স্টেশন রোড,ষষ্টিতলা এলাকায় প্রচুর পানি জমে রাস্তা যেন নদীর রূপ নিয়েছে।
শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদের সামনের সড়কে দেখা যায়, পানি থৈ থৈ করছে। মানুষজন চলাচল করতে পারছেনা। ইসহাক সড়কের সামনের অবস্থা আরও বেহাল। এই সড়ক দিয়ে হেঁটে চলাচলের উপায় নেই। শহরের পিটিআই স্কুলের সামনের রাস্তা দেখে বোঝার উপায় নেই এটি রাস্তা না কোনো ডোবা! এই এলাকার অনেকের বাসায় পানি ঢুকে পড়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে এখানকার লোকজন। যশোর সরকারি এমএম কলেজ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে বের হওয়ার উপায় নেই কিছু কিছু জায়গায়। কবরস্থানপাড়ার একটি অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া, খড়কি ধোপাপাড়ার নীচু এলাকায় হাঁটু পানি জমেছে।
বেজপাড়া মেইনরোড, বনানী রোড এলাকার অবস্থা একই। ওই এলাকার মানুষ দাবি করেন, সেখানে পানি জমলে তা নিষ্কাশন হতে মাসের পর মাস লেগে যায়। শহরের রেলস্টেশন রোডের অবস্থাও বেহাল। বারান্দি মাঠপাড়া, বটতলা চাতাল, নাথপাড়া, কলোনি ও সিটি কলেজপাড়ার একটি অংশ ডুবে রয়েছে। বিশেষ করে মাঠপাড়ার অবস্থা বেহাল। সেখানেও ঘরের মধ্যে পানি উঠেছে।
এসব এলাকার লোকজন জানায়, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিকমতো না থাকায় পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না বলে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে তাদের। অনেক ড্রেন রয়েছে যেসব বছরের পর বছর পরিষ্কার করা হয় না। এছাড়া, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই কিছু কিছু এলাকায়।