এসএম মিজানুর রহমান, শ্যামনগর :
প্রতিদিন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ের পশ্চিম দূর্গাবাটির ভাঙা বাঁধে প্লাকার্ড নিয়ে মুখে কালো কাপড় বেধে প্রতিবাদ জানাতে অবস্থান নিয়েছেন উপকূলীয় তরুণ জান্নাতুল নাঈম। প্লাকার্ডে লেখা রয়েছে ‘আমাকে বিক্রি করব, কিনবেন কেউ? বিনিময়ে… টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।’ গত ১৭ জুলাই থেকে তিন দিন ধরে নাঈম অবস্থান করছেন।
প্রতি বছরই কোথাও না কোথাও উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভাঙছে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে। লোনা পানিতে ভেসে যাচ্ছে উপকূলীয় জনপদের বিস্তীর্ণ এলাকা, চিংড়ি ঘের, কাঁকড়া খামার ও বাড়ি ঘর। এবার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দূর্গাবাটির খোলপেটুয়া নদীর ১৫০ ফুট উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।
ভাঙন কবলিত সেই বাঁধ হচ্ছে তার ওপর ব্যতিক্রমী প্লাকার্ড হাতে ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন জান্নাতুল নাঈম নামে এক তরুণ। শ্যামনগর উপজেলার খাগড়াঘাট গ্রামে তার বাড়ি । শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শরুব ইয়ুথ টিমের পরিচালক জান্নাতুল নাঈম ।
তরুণ জান্নাতুল নাঈম বলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলীয় এলাকায় প্রতিনিয়তই বেড়িবাঁধ ভাঙে। এই বেড়িবাঁধে যদি অব্যবস্থাপনা থাকে, টেকসই বাঁধ না হয় তবে এ এলাকার মানুষ নোনা পানিতে ভেসে যাবে। লবণাক্ততার কারণে আমাদের জীবন সর্বহারা হচ্ছে। আমি চাই না এই নাজুক বেড়িবাঁধ থাকুক। আমি চাই টেকসই বাঁধ হোক। প্রতি বছর যেন লোনা পানিতে আমাদের ভাসতে যেন না হয়।
হাতে থাকা প্ল্যাকর্ডের বিষয়ে জান্নাতুল নাঈম আরো বলেন, এটি বেড়িবাঁধের অব্যবস্থাপনার জন্য একটি প্রতিবাদ । এখন যদি কর্তৃপক্ষ টেকসই বাঁধ না দিতে পারে তবে আমাকে কিনে বা বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে টেকসই বেড়িবাঁধ করুক। এটাই আমার দাবি।