নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের শার্শার ডিহি ইউনিয়নের ফুলসর গ্রামে জমি ফাঁকি দিতে একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। চক্রটি প্রকৃত ওয়ারেশ গোপন করতে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ভুয়া সনদ নিতে জোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন ওই গ্রামের আশরাফুল ইসলাম। সংশ্লিষ্টরাও কখনো একজন কখনো তিনজন ওয়ারেশ বলায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওয়ারেশ নির্ণয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানেও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করা হচ্ছে। স্বাক্ষী হিসেবে বৃদ্ধের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে সাদা কাগজে। এতে অবিচারের শিকার হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী আশরাফুল।
গত ৩০ মে শার্শা থানায় দেওয়া এক লিখিত অভিযোগ মতে, উপজেলার ফুলসর গ্রামের আফসার আলী ৩০ বছর আগে স্ত্রী, কন্যা ও বোনকে রেখে মারা গেছেন। তার কোন ভাই নেই। ফলে তার রেখে যাওয়া সম্পত্তির ভাগিদার স্ত্রী, কন্যা ও বোন। এই তিন ওয়ারেশ নিয়ম অনুসারে সম্পত্তির অংশীদার। কিন্তু অন্যদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে তার কন্যা একমাত্র ওয়ারেশ বলে দাবি করে আসছেন। এমনকি স্থানীয় ডিহি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে একমাত্র ওয়ারেশ কায়েম সনদ দেয়া হয়েছে। এনিয়ে অন্যান্য ওয়ারেশ দাবিদাররা যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বরাবর মিস আপিল মামলা করেন। এর প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ওয়ারেশ যাচাইয়ের জন্য ডিহি ইউনিয়ন পরিষদে চিঠি দেন। গত ২৮ মে সকালে ইউপি সচিব মতলেব আলী ও ইউপি মেম্বার ফারুক হোসেন স্থানীয় আশরাফ আলী, আবু তাহের, মালেক ও খালেককে সঙ্গে নিয়ে আশরাফুল ইসলামের বাড়ির সামনে উপস্থিত হয়ে ওয়ারেশ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ফুলসর গ্রামের ৯৫ বছরের বৃদ্ধ আলী আকবরকে দিয়ে জোরপূর্বক সাদা কাগজে সই করিয়ে নেয়। এই সাদা কাগজে প্রকৃত ওয়ারেশ গোপন করা বা মূল্যবান ডকুমেন্ট তৈরি করার আশংকা করে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা ন্যায্যা বিচার পেতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
ডিহি ইউনিয়নের ফুলসর গ্রামে এক ব্যক্তির ওয়ারেশ নিয়ে জটিলতা
