নিজস্ব প্রতিবেদক: পাওনা টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়ে বিপাকে পড়েছেন আছমা আক্তার নামে এক নারী। অভিযুক্তরা অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য প্রতিনিয়ত তাকে হুমকি দিয়ে আসছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আছমা আক্তার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগে আছমা আক্তার বলেছেন, সদর উপজেলার শাখারীগাতি গ্রামের রফিকুল ইসলাম তার চাচা এবং একই বাড়িতে বসবাস করেন। মনিরুল ইসলাম তার সম্পর্কে ফুফাতো ভাই। এক সময় মনিরুলের সাথে তাকে বিয়ে দিবে বলে ফুঁসলাতে থাকেন রফিকুল ইসলাম। একপর্যায়ে মনিরুল ইসলাম তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মনিরুল ইসলাম মাঝে মধ্যে তার কাছে মোটা অংকের টাকা ধার নিতো। আছমা বিষয়টি তার চাচাকে জানান। রফিকুল ইসলাম তাকে ফেরত দেয়ার জন্য আশ^াস্ত করে বলেন ধারের টাকা মনিরুল পরিশোধ না করলে সে আদায় করে দিবে। মনিরুল বিভিন্ন অজুহাতে আছমার কাছ থেকে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। এরপর দুইটি গরু বিক্রি করে তার চাচার মাধ্যমে আরো ১লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন। আবার তার চাচা রফিকুল ইসলামও আছমার কাছ থেকে ধার হিসেবে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পার হলেও মনিরুল ওই টাকা পরিশোধ না করায় তার চাচাকে টাকা আদায় করে দিতে বলেন। এরপর রফিকুল ইসলাম আছমাকে এড়িয়ে চলতে থাকেন। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছেন আছমা আক্তার। গত ১৫ মে মনিরুল ও তার চাচা রফিকুলের সাথে ঘুনি বাজারে দেখা হলে পাওনা টাকা চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি গত ২১ মে তিনি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এ অভিযোগ দেয়ায় তার চাচা রফিকুল ও মনিরুল ইসলাম চরমভাবে ক্ষিপ্ত হন। তারা এ অভিযোগ তুলে নিতে আছমাকে চাপ দিচ্ছেন। অন্যথায় তাকে খুনের হুমকি দিচ্ছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
থানায় অভিযোগ দিয়ে বিপাকে নারী
