ডেস্ক রিপোর্ট : উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের কঠোর শাসন থেকে বাঁচতে উত্তর কোরিয়ার অনেক নাগরিকই দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যেতে চান। এমন চেষ্টা করতে গিয়ে ভয়াবহ শাস্তিও পেতে হয়েছে অনেককেই। কিন্তু এবার ব্যতিক্রমী এক ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এক ব্যক্তি উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। -নিউজ আল জাজিরা
ওই ব্যক্তি নববর্ষের দিন দুদেশের মধ্যে থাকা উচ্চ সুরক্ষিত সীমানা পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে পড়েছেন বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চীফ অব স্টাফের পক্ষ থেকে রোববার জানানো হয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২০ মিনিটে সীমান্তের পূর্বাংশে তাদের সদস্যরা ওই ব্যক্তির উপস্থিতি টের পান। তাকে ধরে আনার জন্য সেনা সদস্যদের পাঠানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে তিনি উত্তর কোরিয়ায় চলে গেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় যাওয়া অবৈধ।
দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, রাত প্রায় ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ওই ব্যক্তি সামরিক সীমানা রেখা অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেছেন।
ওই ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিতে রোববার সকালে উত্তর কোরিয়াকে বার্তা পাঠিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
২০২০ সালের প্রথমদিকে করোনা মহামারির কারণে নিজেদের সীমানা বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। তারপর থেকেই করোনার বিরুদ্ধে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। যদিও উত্তর কোরিয়া দাবি করে আসছে যে, এখন পর্যন্ত তাদের দেশে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি।
এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিখোঁজ এক কর্মকর্তাকে উত্তর কোরিয়ার সেনারা গুলি করে হত্যা করে। সে সময় ওই ঘটনা নিয়ে দুদেশের মধ্যে বেশ উত্তেজনা শুরু হয়। তবে পিয়ংইয়ং দাবি করে যে, ভাইরাসবিরোধী কঠোর নীতির কারণেই ওই কর্মকর্তাকে তারা গুলি করতে বাধ্য হয়েছিল। ওই ঘটনার জন্য তারা ক্ষমা চেয়েছে।
দারিদ্র এবং রাজনৈতিক নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ১৯৯০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৩৪ হাজার নাগরিক দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এর মধ্যে বেশিরভাগই চীন বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোনো দেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছেন।