নিজস্ব প্রতিবেদক :
নদী বাংলা রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে চাঁদাবাজি মামলার আসামি যশোর শহরতলীর শেখহাটি মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক সড়কের এস এম মোস্তাফিজুর রহমান কবির। তিনি অফিসের ব্যানার খুলে নিয়ে গেছে। কেটে দিয়েছে টেলিফোন লাইনটি। নিয়ে গেছে একটি টেবিল। এই অভিযোগে পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জিডিও করেছেন। অথচ পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, নদী বাংলা কাশেম টাওয়ারের বিল্ডিং নির্মাণের জন্য ডেভেলপার হিসেবে জমির মালিক আব্দুল হামিদ গংয়ের কাছ থেকে জমি বুঝে নিই। এরপর ওই জমিতে ৫ তলা পর্যন্ত বিল্ডিং নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করি। বিল্ডিং করার সময় মোস্তাফিজুর রহমান কবিরসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন প্রায় এসে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করতো। কবিরসহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় খুন জখমের হুমকি প্রদানসহ বিল্ডিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেয়। বিল্ডিংয়ের নিয়োগকৃত ম্যানেজার সুজন ইকবালকে ভয়ভীতি ও চড়থাপ্পড় মারে। একই সময় সন্ত্রাসীরা বিল্ডিং নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত মিকচার মেশিন, ভাইব্রেট মেশিন, পাম্প মেশিনসহ বিভিন্ন প্রকার নির্মাণ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য তিন লাখ টাকা। ২৪ জুন কবিরসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন আসামি এসে আমাকে ডেকে চাঁদা না দেয়ার কারণে চড়থাপ্পড় মারে। ম্যানেজার সুজনকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এ সময় মোস্তাফিজুর রহমান কবির কোমর থেকে ধারালো চাকু বের করে আমাকে ও আমার ম্যানেজারকে প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে ২ জুলাই আমি কোতয়ালি থানায় মামলা করি। কিন্তু মামলা করার পর প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ কবিরকে আটক করেনি। এর ফলে কবির প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার দারোগা এস আই আলিমুজ্জামান জানান, চাঁদাবাজি মারপিট মামলায় কবির জামিনে আছেন। জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া ও টেলিফোন লাইন কেটে দেয়ার ঘটনায় নদী বাংলা রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম একটি জিডি করেছেন। জিডির বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।