নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে প্রত্যাশা সমাজ কল্যাণ সংস্থার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। সাড়ে ৪ বছর আগে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক গোলাম কুদ্দুস ভিকুকে হত্যা করে আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে নানা অনিয়ম শুরু করে।
জানা গেছে, যশোরের উপশহর সি-ব্লকের বাসিন্দা গোলাম কুদ্দুস ভিকু প্রত্যাশা সমাজ কল্যাণ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব নিয়ে সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসছিলেন। অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে সংস্থার আয়-ব্যয়ের টাকার হিসাব নিয়ে এক সময় দ্বন্দ্ব শুরু হয়। টাকার হিসাব চাওয়ায় ভিকুকে ভয়ভীতিও দেখায় আসামিরা। ২০১৭ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি উপশহর এ-ব্লকে সংস্থার অফিসের যান। অফিসের কাজ শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসার সামনে এসে পৌঁছালে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় তিনি খুন হন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তিনজনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি দিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্তকালে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও স্বাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যা ও বোমা হামলার সাথে জড়িত থাকায় চারজনকে অভিযুক্ত ও দুই জনের অব্যাহতি চেয়ে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক হারুন অর রশীদ।
অভিযুক্তরা হলো, যশোর সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সংস্থার কর্মকর্তা বাহার, ঘুরুলিয়া গ্রামের মাসুদুর রহমান, শ্যামনগর গ্রামের নজরুল ইসলাম কেরু ও যশোর শহরের শংকরপুর মুরগির ফার্ম এলাকার হাফিজ আল আসাদ কবির ওরফে কালো কবির।
আসারিমা বিভিন্ন সময় গ্রেফতার ও আত্মসমর্পণ করে জেলহাজতে যায়। পরে তারা জামিনে মুক্তি পায়। মহামারি করোনার কারণে ও বিভাজন জটিলতায় মামলাটি বিচারের কার্যক্রম শুরু হয়নি বলে আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে নিহতের পরিবারের অভিযোগ, আসামিদের মধ্যে দুইজন আবারও সংস্থায় যোগদান করে বহাল তবিয়তে রয়েছে। তারা নিহতের পরিবারকে সংস্থায় পাত্তাই দেয়না। ভিকুর রেখে যাওয়া টাকার মধ্যে সভাপতি এসএম নাজিম উদ্দিন, হত্যা মামলার আসামি এরিয়া ম্যানেজার বাহার আলী, সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম ও হত্যা মামলার আসামি প্রধান হিসাব রক্ষক মাসুদুর রহমান লুটপাট করে নিয়েছেন। ভিন্নিভাবে খোঁজখবর নিয়ে সংস্থার টাকা নয়ছয়ের বিষয়টি জানতে পেরে আদালতে মামলা করা হয়েছে। এ মামলা করায় আসামিরা ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে মামলার প্রত্যাহারের সুপারিশও করছে আসামিরা।