যবিপ্রবির আলোচনা সভা
কল্যাণ রিপোর্ট
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের অজানা অধ্যায়ের মনোমুগ্ধকর গল্প শোনালেন ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
বুধবার দুপুরে যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি বঙ্গবন্ধু সব সময় যে তিনটি শিক্ষামূলক গল্প বলতেন, সেটা তিনি ব্যাখ্যা করে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে খন্দকার মুশতাকের বৈরিতা ছিল আজীবন জানিয়ে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের একটি ঘটনা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি করা হয়। তখন তাঁকে পছন্দমতো পদধারী ব্যক্তিদের নির্বাচিত করার ক্ষমতা অর্পণ করা হয়। মাওলানা ভাসানী প্রথমে বললেন, সাধারণ সম্পাদক হবেন শামসুল হক। যুগ্ম সম্পাদক মুজিবুর রহমান। তখন বাম দিকে বসা খন্দকার মুশতাক ভাসানীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, মুজিবুর তো জেলখানায়, আপনি আমারে দেখেন না? তখন ভাসানী বলেন, তোমারেও দেখি, মুজিবুররেও দেখি! মুজিবুররে দিয়া যে কাম হইবো, তোমারে দিয়ে সেই কাম হইবো না।
এভাবে তিনি খন্দকার মুশতাক কিভাবে বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতা করতেন তার গবেষণালব্ধ বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা তুলে ধরেন। বক্তব্যের শেষে তিনি ঐতিহাসিক ছয় দফার উৎপত্তি, কার্যকারণ ও প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আহসান হাবীব। সভা পরিচালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের সহকারী পরিচালক এস এম সামিউল আলম।