কল্যাণ ডেস্ক : ছুটির দিনে শীতের আমেজে অনেকেরই ঘুম ভাঙেনি; কাক ডাকা সেই সকালে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখে এলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
বছরের শেষ দিন শুক্রবার পদ্মা সেতুতে দাঁড়ানো বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ের ছবি ফেইসবুকে প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন: ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার ফ্রম দি পদ্মা ব্রিজ’।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী সকাল সড়ে ৭টার দিকে সড়কপথে সেতু এলাকায় আসেন। মাওয়া প্রান্ত দিয়ে গাড়িতে করে তিনি সেতুতে ওঠেন এবং জাজিরা প্রান্ত দিয়ে নামেন।
মাঝখানে ৭ নম্বর খুঁটি থেকে ১৮ নম্বর খুঁটি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার পথ শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানা পার হন পায়ে হেঁটে। সাড়ে ৮টার দিকের সেতুর জাজিরা প্রান্তে পৌঁছে সার্ভিস এরিয়ায় তারা নাস্তা সেরে নেন।
এরপর গাড়িতে করে আবার সেতু পেরিয়ে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে ফিরে আসেন। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে সড়ক পথেই ফিরতিযাত্রা করেন ঢাকার পথে।
পদ্মা সেতুতে এই হঠাৎ সফরে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক এবং পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করবে বাংলাদেশ।
এরপর ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। ঠিক পাঁচ বছরের মাথায় পূর্ণ আকৃতি পায় স্বপ্নের সেতু,যুক্ত হয় পদ্মার দুই পাড়।
নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের জানান, সেতুর ৯৬ শতাংশ কাজ শেষে এখন চলছে পিচ ঢালাই। সব ঠিক থাকলে আসছে জুন মাসে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে।