লিটার প্রতি ৪০ টাকা বেশি লাভ
খাজুরায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক: সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধিকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা নানান অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। কোথাও কোথাও দোকানে তেল না রেখে গুদামে তেল রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার প্রমাণ মিলছে। আবার কোথাও বোতল থেকে তেল ব্যারেলে ঢেলে রাখা হচ্ছে। বোতলে থাকলে পূর্বের বডি রেটে তেল বিক্রি করতে হবে এজন্য ব্যবসায়ীরা ব্যারেলে ঢেলে ২০০ থেকে ২১০ টাকা লিটার বিক্রি করছে। বুধবার যশোরের বাঘারপাড়ার খাজুরা বাজারে এমন একটি ঘটনা হাতেনাতে ধরেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে দোকানিকে। এর আগের দিন যশোরের ঝিকরগাছায় বেশি দামে বিক্রির আশায় লুকিয়ে রাখা এক হাজার ১৮ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় সন্তোষ ট্রেডার্সের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হক।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব জানান, ব্যবসায়ীরা যারা আগে কম দামে সয়াবিন তেল ক্রয় করেছিলেন তারাও বেড়ে যাওয়া দামে বিক্রি করছেন। সয়াবিনের বোতলে পূর্বের দাম ১৬০ টাকা লেখা রয়েছে। বেশি লাভের আশায় বেড়ে যাওয়া দামে বিক্রি করতে বোতলজাত তেল খুলে ফেলা হচ্ছে। সেগুলো খুলে ব্যারেলে রেখে খোলা তেল আকারে ২০০ থেকে ২১০ টাকা লিটার বিক্রি করা হচ্ছে। এ অপরাধে বুধবার খাজুরা বাজারের পরিতোষ দত্ত স্টোরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়। একই সাথে লস্কার স্টোরে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় চার হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।
অভিযান চলাকালে বাজারের সকল মুদি, চাল, মুরগি ও মাংসের দোকানে হালনাগাদ মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা এবং ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তেলসহ খাদ্যপণ্য নিয়ে কেউ কোনো ধরনের অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করলে জনস্বার্থে এ ধরনের তদারকি অব্যাহত থাকবে বলে জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ওয়ালিদ বিন হাবিব। এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্যাব যশোরের সদস্য আব্দুর রকিব সরদার।