নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের ভৈরব নদ থেকে বালু উত্তোলন করে পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। এদাবিতে বুধবার বেলা ১১টায় যশোরের জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে জনউদ্যোগ নামে একটি সংগঠন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত।
এতে বলা হয়েছে, যশোর শহরের কাজীপাড়ায় আব্দুল আজিজ রোডের তেঁতুলতলা এলাকায় ভৈরব নদে ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে দীর্ঘ পাইপ লাইনের মাধ্যমে মাসাধিককাল ধরে বালু তোলা হচ্ছে। এই বালু তুলে পুলিশ লাইনের পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। যশোর জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনে দীর্ঘদিন এ বালু উত্তোলন কার্যক্রম বুঝিয়ে দিচ্ছে পরিবেশ বিপর্যয় ও জলবায়ুগত পরিবর্তনের বিষয়গুলো মেনে চলার প্রয়োজন দেখা দেয়নি।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, পুকুর ভরাট ও নদীর গভীর থেকে বালু উত্তোলন দুটিই পরিবেশ বিপর্যয়মূলক কাজ। যারা এই কাজ বন্ধ করবেন তারাই বালু উত্তোলন কাজের সাথে জড়িত। বালি অধিক গভীর থেকে উত্তোলন করা হলে আশপাশের অনেক দূর এলাকা ভূমিকম্পনজনিত ব্যাপক ভূমিধসের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে প্রায় শত বছর লেগে যাবে।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন জনউদ্যোগ যশোরের আহ্বায়ক প্রকৌশলী নাজির আহমদ, জনউদ্যোগ সদস্য, প্রবীণ সাংবাদিক বীরমুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দোলাহ, সিপিবি যশোর জেলা কমিটির সভাপতি ও জনউদ্যোগ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ও জনউদ্যোগ সদস্য মাহাবুবুর রহমান মজনু, প্রেসক্লাব যশোরের যুগ্ম সম্পাদক ও জনউদ্যোগ সদস্য মিলন রহমান, নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট আফরোজা বেগম, আইইডি যশোর কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক বীথিকা সরকার, জনউদ্যোগ সদস্য সচিব কিশোর কুমার কাজল প্রমুখ।