নিজস্ব প্রতিবেদক: হামিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাকবৃন্দ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন । সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি নিয়োগের পায়তারা বন্ধের দাবিতে এই স্মরকলিপি দেয়া হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানান তারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, করোনাকালে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, পরীক্ষা স্থগিত, এমনকি ম্যানেজিং কমিটি গঠনসহ সকল ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের আদেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু হামিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জামাতপন্থী ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নাশকতা মামলার আসামি আজগার আলী গাজী অনৈতিকভাবে নিজের ছেলেসহ ৩জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি নিয়োগের জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। ফলে এঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুল এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয় ১৯জন প্রার্থী আবেদন করলেও তারা পড়েছেন বিপাকে। এহেন পরিস্থিতিতে সকল বিধি বিধান মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলসহ নিয়োগ পরীক্ষার পুণঃতারিখ নির্ধারণের দাবি জানানো হয়েছে।
হামিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিনজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি নিয়োগের জন্য সম্প্রতি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। এরই আলোকে ৩টি পদে ১৯ জন প্রার্থী আবেদন করেন। যার মধ্যে অফিস সহায়ক পদে ৮ জন, আয়া পদে ৬ জন ও নৈশ প্রহরী পদে ৫ জন।
এরপর গত ১৩ জানুয়ারি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যশোর জিলা স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেন। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষার পূর্বেই জানা যায় বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কর্মকর্তাদের যোগসাজসে সভাপতি আজগার আলী গাজী তার নিজ পুত্রকে অফিস সহায়ক পদে, কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে তার এক আত্মীয়কে আয়া পদে ও নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগের পরিকল্পনা করেন । বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় উর্দ্ধতন মহলের চাপে উক্ত নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর পুনরায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে আজ নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেছেন।