নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক ও প্রকাশক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দ্দৌলা ও উপদেষ্টা সম্পাদক দৈনিক সংবাদ’র বিশেষ প্রতিনিধি রুকুনউদ্দৌলাহ’র সেজো ভাই বিশিষ্ট লেখক ও ব্যাংকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আসফউদ্দৌলাহ চির বিদায় নিয়েছেন। আজ (২৪ জুলাই) সকাল পৌনে ১০ টায় ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিতকারণে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি স্ত্রী, তিনপুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দৈনিক কল্যাণ পত্রিকায় কর্মরতরা।
আসফউদ্দৌলাহ ১৯৪৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা (উত্তর) জেলার কলিঙ্গা গ্রামে জন্মেছিলেন। লেখাপড়া করেন রুদ্রপুর হাই স্কুল, গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬৪ সালে দেশ (ভারত) ত্যাগ করে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) আসেন।
তিনি শিক্ষকতার মধ্যদিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। আর শেষ করেন ব্যাংকার হিসেবে। তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার এমএল হাই স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। চাকরি করেছেন ইস্পাহানি খুলনায় ও যশোর শিক্ষাবোর্ডে। পরে যোগদেন আজকের রূপালী, সেদিনের অস্ট্রেলেশিয়া ব্যাংকে। ১৯৭১ সালে স্বপরিবারে যোগদেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। স্বাধীনতার পর পুনরায় ছেড়ে যাওয়া ব্যাংকে যোগ দেন এবং দীর্ঘদিন দায়িত্ব¡ পালন করেন উত্তরবঙ্গে। ১৯৭৮ সালে বদলি হন রূপালী ব্যাংকের করাচি শাখায়। ১৯৮৪ তে দেশে ফিরে ইউসিবি-এ যোগদেন। ১৯৮৭ তে যোগদেন আইএফআইসি ব্যাংকে এবং বদলি হন করাচি শাখায়। দীর্ঘ নয় বছর করাচিতে চাকরি শেষে দেশে ফেরেন ১৯৯৬ সালে। ২০০৩ সালে অবসরকালীন সময়ে তিনি আইএফআইসি ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান ছিলেন। তার সুদীর্ঘ ব্যাংকিং জীবন সাফল্যে সমাদৃত। তার পছন্দের উল্লেখযোগ্য দিক বই পড়া, ভ্রমণ ও সঙ্গীত। ছাত্রাবস্থা থেকে লেখালেখির অভ্যাস। তার প্রকাশিত বই: ফেলে আসা জন্মভূমি ও দূরে বহু দূরে (নবরাগ প্রকাশনী)। আসফউদ্দৌলা ইতোমধ্যে বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্ত্রী ফাহমিদা জেরিনকে নিয়ে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে বসবাস করছিলেন।