নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী গত ৫ মে ছিল পেঁয়াজ আমদানির শেষ সময়। এদিন ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল ৪৫ ট্রাক। এরপর গত ৪দিন ধরে আর পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছেনা। মূলত কৃষকরা যাতে পেঁয়াজের সঠিক মূল্য পান সেজন্য সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বেনাপোল কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ মার্চ বন্দর দিয়ে দেড় বছর পর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছিল। এদিন ৫২টি ট্রাকে দেড় হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। পেঁয়াজ খালাস হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়।
পেঁয়াজ আমদানিকারক জাহাঙ্গীর আলম জানান, পেঁয়াজের প্রকারভেদে প্রতি মেট্রিক টন ১১১ ডলার থেকে ৩০০ ডলার পর্যন্ত মূল্যে আমদানি হয়েছিল। কাস্টমসে ১০ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধে প্রতিকেজি পেঁয়াজের ডিউটি প্রদান করতে হচ্ছে ২ টাকা ৭৫ পয়সা। নাসিকের পেঁয়াজ বাজারে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৫ টাকা ও হাসখালী পেঁয়াজ ১৮ থেকে ১৯ টাকায়। পেঁয়াজ আমদানিতে দেশি পেঁয়াজের দাম কমে যায়। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। এতে চাষিরা তাদের উৎপাদন খরচ উঠাতে পারছিলনা। যেকারণে গত মে থেকে সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছেন।
বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, এক বছরেরও বেশি সময় পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছিল। গত ৫ মার্চ থেকে সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছে। এসময় বেনাপোল দিয়ে এক হাজারের বেশি ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।