যশোর জেলার মনিরামপুরের আব্দুর বাতেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের প্রত্যাশায় জীবন সংগ্রামে সুখের দিনের আশায় সময় কাটাচ্ছেন।
দুই বছর আগে ১৫তম শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাননি। জীবন-জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়েই এখন তিনি শ্রমজীবী।
আব্দুর বাতেন দৈনিক কল্যাণকে বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ভাইভা দিয়েছি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফল হয়েছে। ধারণা করেছিলাম, তিন-চার মাসের মধ্যে নিয়োগ পাব। নিয়োগের আশায় কোনো প্রাইভেট কোম্পানিতেও চাকরি নেইনি।
বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা আছেন। একটি মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন। সাত-আট বছর আগে অবসরে গেছেন। বাবার হাতে এখন কোনো টাকাই নেই। এক বছরের সন্তানকে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় প্রতিটি দিন পার করছি। তার পেছনে প্রতিদিন গড়ে ১৫০-২০০ টাকা খরচ হয়। কিন্তু এ টাকা কই পাই? কি যে কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছি, সেটা বলে বুঝানো যাবে না। ঋণে জর্জরিত হয়ে গেছি। কোনো দিকে যখন কূল কিনারা করতে পারছিলাম না, তখন বাধ্য হয়ে ২৮-২৯ দিন হলো কঠোর পরিশ্রমের কাজ শুরু করেছি। কথাগুলো বলছিলেন বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রত্যাশী আব্দুর বাতেন।
তিনি আরও বলেন, এর আগে যশোরে টিউশনি করাতাম। কিন্তু করোনার কারণে এখন টিউশনিও পাওয়া যাচ্ছে না। এখন মনিরামপুরে কাজ করি। এ কাজে প্রতিদিন ৩৫০ টাকা করে পাই । খরচ শেষে থাকে ২০০ টাকা। যা দিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব নয়। এখন আমার একটাই দাবি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমাকে নিয়োগ দেওয়া হউক।