কল্যাণ ডেস্ক : রোজা শুরুর আগ থেকেই বাড়তে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম। সর্বশেষ মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়েছে সয়াবিন তেলের দাম। যার লিটারে বেড়েছে ৩৮ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, বেশি দামের চেয়েও বড় সমস্যা টাকা দিয়েও পণ্য কিনতে পারছেন না তারা। কারণ বাজারের বিভিন্ন পণ্যের জোগান হঠাৎ করেই কমে গেছে।
বৃহস্পতিবার সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা আসে। এরপর থেকেই দেশজুড়ে এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। তবে সেই সমালোচনার আগুনে ঘি ঢালছে বাজার থেকে সয়াবিন তেলের উধাও হয়ে যাওয়ার খবর। একইসঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনই অনেক পণ্যই টাকা দিলেও মিলছে না এমনই অভিযোগ ক্রেতাদের। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদুল ফিতরের বন্ধের কারণে এ সপ্তাহে পণ্য এসেছে কম। সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।
শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সয়াবিন তেল নিয়েই বাজারে যত আলোচনা, কথা কাটাকাটি আর তর্ক। দোকানগুলোতে আগে থেকেই মজুত রাখা সয়াবিন তেলও বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তেল নতুন না পুরনো সেটি বিষয় না, দাম বেড়েছে তাই দাম বেশি রাখা হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতরের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে বোতলজাত তেল লিটারে ৩৮ টাকা আর খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানোর কথা জানানো হয়। বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে মিল মালিকদের বৈঠকের পর এই বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। বলা হয়, শুক্রবার থেকে নতুন এই দর কার্যকর হবে।
নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, ক্রেতারা প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকায় কিনতে পারবেন। আর পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮৫ টাকা। একইসঙ্গে প্রতি লিটার পাম অয়েল বিক্রি হবে ১৭২ টাকায়।
ফেব্রুয়ারির শেষে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে তেল সরবরাহে অবনতি হওয়ার কারণে এই দাম বেড়েছে। ওই সময় থেকেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম কিছুটা বাড়তি থাকলেও সবশেষ তেলের বাজারে বড় ধাক্কা লাগে ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল রফতানি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে। এ ঘটনার আগে ১৩০ টাকায় ভালো পাম অয়েল মিলত বাজারে।