জনদুর্ভোগ লাঘবে ফোর লেনের কাজ শুরু হচ্ছে
কল্যাণ রিপোর্ট:
যশোর শহরের মণিহার থেকে মুড়লী মোড় পর্যন্ত সড়কের পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনিন্দিতা রায় ও সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান চালায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। অভিযানে ৬৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে মনিহার থেকে মুড়লী মোড় পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ফোর লেনের কাজ শুরু করার জন্য এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর উচ্ছেদ অভিযান চালায় সওজ। কিন্তু জেলা পরিষদের আপত্তির কারণে অভিযান থেমে যায়।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৩১ কোটি ১৭ লাখ টাকা সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে।
মণিহার থেকে মুড়লীর মোড় পর্যন্ত সংষ্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে ছিল। জনদর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় এনে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ পৃথক প্রকল্প গ্রহণ করে। ব্যস্ততম সড়কটি পুননির্মাণে ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী সড়কের দুই পাশে নির্মিত হবে ড্রেন। সড়কটি চার স্তর খুঁড়ে নতুন করে নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে সড়কটি প্রশস্ত রয়েছে ২৪ ফুট। আর ফোর লেনের হলে এটির প্রশস্ত হবে ৫০ ফুটের বেশি। মাঝে থাকবে সড়ক ডিভাইডার।
উচ্ছেদের আগে সড়ক বিভাগ সংবাদপত্রে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি ছাপলেও দখলদাররা অতীতের মত নানা বাহানা ধরেছেন। উন্নয়নের স্বার্থে উচ্ছেদ অভিযান চললেও তারা নাখোশ হয়েছেন। তবে সাধারণ মানুষ উন্নয়নের পক্ষে বলিষ্ঠভাবে বলেছেন, তারা চান যশোর উন্নয়নের একটি রোল মডেল হয়ে উঠুক ।
এ প্রসঙ্গে যশোর বাস মালিক সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান পিন্টু জানান, যশোরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে। উচ্ছেদ অভিযানে ছাড় যাবে না। ছাড় দিলে উন্নয়ন ব্যাহত হবে। সড়কটি যশোরের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনই স্থানীয় বাসসহ দূরপাল্লার অগণিত বাস এই সড়ক দিয়ে যাতায়ত করে। এই সড়কে হেঁটে পাড় করাই দুর্বিষহ। যে বাসগুলো এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে তা প্রায় সময় রাস্তার মাঝে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে। তাই দেরিতে হলেও সরকারের এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এখন শুধু অপেক্ষা সঠিক নিয়মে সড়ক নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ বাস্তবায়ন হবে।
সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ ও পরিকল্পনা অনুযায়ী সকল কাজ বাস্তবায়ন হলে শহরের প্রানকেন্দ্র বুকভরে নিশ্বাস নিতে পারবে। যানজট নিরাসন হবে, কমবে দুর্ঘটনা এমনই প্রত্যাশা স্থানীয় জনগনের।
সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা যাতে পূরণ হয় সেই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ পৃথক প্রকল্প গ্রহণ করে ব্যস্ততম সড়কটি পুনঃনির্মাণে মাঠে নেমেছে।