কল্যাণ ডেস্ক: মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। ইতোমধ্যে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগপত্র সচিবালয়ে পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা মাত্রই কেবিনেট থেকে তার পদত্যাগ কার্যকর হয়ে যাবে।মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সচিবালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডা. মুরাদ হাসানের আপত্তিকর বক্তব্য ও অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় আজকের মধ্যে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০২১ সালের অক্টোবরে মুরাদ হাসান এক বক্তব্যে বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। তার ব্যক্তিগত মন্তব্যে তিনি সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ এবং ১৫তম সংশোধনী বাতিল করে ১৯৭২ সালের সংবিধান পুনর্বহাল রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা উল্লেখ থাকায় এবং সকল ধর্মের প্রতি সমান মর্যাদা উল্লেখ থাকায় তার প্রস্তাবটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। সম্প্রতি এক ফেসবুক লাইভে যুক্ত হন মুরাদ হাসান। লাইভের এক পর্যায়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে তিনি বিভিন্ন অশালীন মন্তব্য করেন।
৬ ডিসেম্বর , সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিত্র নায়ক মামনুন হাসান ইমন ও নায়িকা মাহিয়া মাহি একটি ফোনালাপ ভাইরাল হয়। যেখানে তিনি মাহিয়া মাহির সাথে অশ্লীলভাবে কথা বলেন। ওই কথোপকথনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মাহিকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তায় তুলে আনার হুমকি দেন। বিষয়টি দেশজুড়ে সমালোচনার জন্ম দেয়।
এর পরেই মূলত মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।