নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধের পরিত্যক্ত মাইন বিস্ফোরণে ডান পা হারান (হাঁটুর নিচ) আবদুল হামিদ (৭০)। এরপর দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ক্রাচে ভর দিয়ে চলাচল করছিলেন। তার এই সীমাহীন কষ্ট লাঘবে এগিয়ে এসেছেন কিছু হৃদয়বান মানুষ। রোববার তার একটি কৃত্রিম পা সংযোজন করা হয়েছে। পাঁচ দশক পর আবদুল হামিদ আবার দুই পায়ে হাঁটা শুরু করেছেন। জীবন সায়হ্নে এসে পা ফিরে পেয়ে খুবই আনন্দিত তিনি। আবদুল হামিদ যশোরের চৌগাছা উপজেলার ধুলিয়ানি ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আবদুল হামিদের কৃত্রিম পা সংযোজনে সহযোগিতা করতে পেরে আনন্দিত যশোরের চৌগাছা উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের কৃতি সন্তান ও খুলনার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল কাদের পিন্টু। তিনি মঙ্গলবার এ প্রতিবেদককে বলেন, গত ৪ মে (ঈদের পর দিন) চৌগাছা উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে চৌগাছা সমিতি-ঢাকা’র পক্ষ থেকে স্বাভাবিক চলাচলে অক্ষম এমন ১০৫ জন চৌগাছাবাসীর মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে আব্দুল হামিদের সঙ্গে কথা হয়। আলাপকালে তিনি জানান, ১৯৭২ সালে মাইনের আঘাতে (একাত্তরের পরিত্যক্ত) তার ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ হারান। এরপর তার কৃত্রিম সংযোজনে সহযোগিতার আশ^াস দিই। পূর্ব প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী রোটারি ক্লাব অব খুলনা আর্টিফিশিয়াল লিম্ব প্রজেক্টের আওতায় এবং পাস্ট প্রেসিডেন্ট সরদার হাসিবুর রহমানেরর অর্থায়নে গত রোববার (৮ মে) আব্দুল হামিদের কৃত্রিম পা সংযোজনে করা হয়। খুলনা আর্টিফিশিয়াল লিম্ব প্রজেক্টের চেয়ারম্যান হিসেবে ৫০ বছর পর আবদুল হামিদের হাঁটার মুহুর্তে উপস্থিত ছিলাম। এজন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। রোটারী ক্লাব অব খুলনা এবং চৌগাছা সমিতি-ঢাকা’র সকল সদস্যকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।