নিজস্ব প্রতিবেদক :
যশোরের চৌগাছা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য এবং গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আজাদ রহমান খান (৪৫) প্রতিপক্ষের হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছেন। এময় তাঁর সাথে থাকা হোসেনুর রহমান (৩৫) নামে এক যুবকও আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১৮জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া বাজারে তাঁরা এই হামলর শিকার হন। আজাদ রহমান খান ওই বাজার কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
আজাদ রহমান খান জগদীশপুর ইউনিয়নের মাড়ুয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম খানের এবং হোসেনুর আড়পাড়া গ্রামের বিলাত আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাঁরা আড়পাড়া বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে পেয়ারা খাচ্ছিলেন। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইউনিয়নের আড়কান্দি গ্রামের আসলামের নেতৃত্বে বাবুল (৩০), সুজন (৩৫), আব্দুল আজিজ (৪৫), মনিরুল (৩০), কামাল(৩২), আসলাম (৫০), সাঈদ (২৮), মোফা (৫২), সাইফুল (৪৫) , কামাল (৩৮) মন্টু (৪২) ইয়াসিন (২৬) আসলাম (৪২)সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আজাদুর রহমান ও হোসেনুর দোকানের সামনে বসে পেয়ারা খাওয়া অবস্থায় পিছন দিক থেকে ধারালো অস্ত্র অতর্কিত হামলা করে গুরুতর যখম করে। পরে স্থানীরা তাঁদের উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে ট্রাথমিক চিকিৎসা শেষ কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
ঘটনাসূত্রে আরও জানা যায়, গত ১৪ জুন আজাদ রহমান খানে আড়পড়া টু আড়কান্দি সড়কের পাকা করনের কাজ চলাকালে আজাদের নেতৃত্বে রাস্তার কাজের গুণগত মান ভালো হচ্ছে না মর্মে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। সে বিষয় নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় আজাদ পক্ষের লোকজন সোমবার হামলাকারীদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় এবং বাবুলকে চাকু দিয়ে কয়েকটি আঘাত করে। বাবুলের দুই রানে এবং পশ্চাৎদ্বেশে মোট পাঁচটি আঘাত করে । তারই জেরে সোমবার হামলা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাবুল, সুজন, আজিজদের নেতৃত্ব হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তিনি জানান এঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তিনি জানান এর আগে আজাদ পক্ষের হামলায় বাবুল আহত হয়েছিলো। তারই প্রতিশোধ নিতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।