কল্যাণ রিপোর্ট: যশোর শহরের শংকরপুরের সাব্বির হত্যা মামলার তিন আসামিকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। গত শুক্রবার ও শনিবার গাজীপুর এবং শংকরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা তিনজনই শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা।
এরা হলেন, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বর্তমানে শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা ওসমান গাজী ছেলে মনিরুল ইসলাম মনির, একই উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে এনামুল হক বিজয় ওরফে এনা ও শংকরপুর আকবরের মোড় প্রাইমারি স্কুলের পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া মজনুর ছেলে রাকিব হোসেন ।
পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে হত্যায় ব্যবহিত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
ডিবি পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, সাব্বির আসামিদের মধ্যে মুসাকে মারপিট করে। এ নিয়ে শত্রুতা চলছিলো। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আসামিরা সাব্বিরকে হত্যা করে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ই ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার মাসুরা খাতুনের ছোট ছেলে সাব্বির হোসেনকে (২২) যশোর শংকরপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ সময়ে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের মা মাসুরা বেগম সাতজনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় আরও ৯/১০জনকে আসামি করা হয়।
এই মামলার আসামিরা হলো, শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার নূরন্নবীর বাড়ির ভাড়াটিয়া হাফিজুর রহমান সরদারের ছেলে মুসা (২৪), লিয়াকতের বাড়ির ভাড়াটিয়া ওসমান মোল্লার ছেলে মনিরুল ইসলাম মনি (২৮), একই বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে এনামুল হোসেন এনা (২৪), শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার সেলিম মিয়ার ছেলে রায়হান (১৭), শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আলমগীর হোসেন আলী ওরফে বেড়ে আলীর ছেলে সুইট (১৯), ছোটনের মোড় মেম্বার পাড়ার কাজলের ছেলে বুলেট সাগর (২২), বেজপাড়া আনসার ক্যাম্পের পাশের তানভীন (২৩)।
যশোর গোয়েন্দা পুলিশের অফিস ইনচার্জ রুপণ কুমার সরকার জানান, থানায় মামলা হওয়ার পর তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি পুলিশ। ডিবি পুলিশের তদন্তে উঠে আসে হত্যাকারীদের কয়েকজন যশোর থেকে পালিয়ে গাজীপুরে অবস্থান করছে। শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শফি আহমেদ রিয়েল, এসআই শামীম হোসেন, ও এসআই মফিজুল ইসলামের সমন্বয়ে একটি টিম গাজীপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে মনির ও বিজয়কে আটক করে। পরে শংকরপুরে অভিযান চালিয়ে অপরজনকে আটক করা হয়। আসামিদের দেয়া জবানবন্দি থেকে হত্যায় ব্যবহিত চাকু উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষে রোববার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।