নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী হাঁস লিটন তিনটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণের পর বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। আসামি হাঁস লিটন শহরতলীর বিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত সূত্র মতে, ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর ভোর রাতে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের পাঁচবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসীরা পাল্টাপাল্টি গুলি করে। এসময় রিপন হোসেন নামে এক সন্ত্রাসী খুন হয়। ওই ঘটনার মামলায় হাঁস লিটন অন্যতম আসামি।
২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর বিকেলে শহরতলীর বিরামপুর-পাগলাদহ রাস্তায় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় হেলার উদ্দিন নামে এক সন্ত্রাসী আটক করা হলেও হাঁস লিটন ও বাদল নামের দুই সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়। এই ঘটনার মামলায় আটক হেলাল উদ্দিনের সাথে বাদল ও হাঁস লিটনকেও পলাতক আসামি করা হয়।
এছাড়া গত ৬ মে কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে হাঁস লিটনের বাড়ির ছাদের উপরে নিয়ে লোহার রড ও বাঁশের লাঠিসহ বিভিন্ন ধরণের দেশিয় অস্ত্র দিয়ে লোকসমাজ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক শিকদার খালিদ উর রহমানকে মারপিট করে হাঁস লিটন ও তার লোকজন। এসময় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ও একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে ছাদের উপর থেকে ফেলে দেয়। এই ঘটনার মামলার আসামি হাঁস লিটন এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।