জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : অনির্দিষ্টকালের জন্য ওএমএস’র আটা বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন যশোরের অর্ধলক্ষাধিক সীমিত আয়ের মানুষ। স্বল্প মূল্যের আটা বিক্রি বন্ধ থাকায় বাজারে দাম উঠেছে দ্বিগুণের বেশি। নিত্যপণ্যের দাম যখন উর্ধ্বমুখী তখন ওএমএস’র আটা বিক্রি বন্ধ থাকায় মরার উপর খাড়ার ঘা, হয়ে দেখা দিয়েছে।
যশোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস জানায়, গত ১৬ মে ওএমএস’র আটা বিক্রি বন্ধ করে দেয় খাদ্য অধিদপ্তর। সেই থেকে সারাদেশের মতো যশোরেও আটা বিক্রি বন্ধ রয়েছে। তবে স্বল্প মূল্যে চাল বিক্রি চলমান রয়েছে। সূত্র মতে, যশোর শহরে সরকারিভাবে ন্যায্য মূল্যে চাল ও আটা বিক্রির ওএমএস’র ডিলার রয়েছেন ১৪ জন। সপ্তাহের ৬দিন ১১ মেট্রিকটন আটা পেয়ে আসছিলেন তারা। সরকার ভর্তুকি দিয়ে ১৮ টাকা দরে আটা ও ৩০ টাকা দরে চাল বিক্রি শুরু করে ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে। কিন্তু চলতি বছরের ১৬ মে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটা বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। মাসের ২৪দিন বিক্রি হতো ২৬৪ মেট্রিকটন। প্রত্যেকে ১৮ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি করে আটা পাচ্ছিলেন। এ হিসাব মতে, যশোরে ৫২ হাজার ৮শ মানুষ স্বল্প মূল্যের এই সুবিধা পেয়ে আসছিলেন।
ফুডগোডাউন এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, চাল খুবই নি¤œমানের। ধনীক শ্রেনির মানুষ বাজার থেকে হাঁস-মুরগির জন্য এই চাল কেনেন। তবে আটার মান খুবই ভাল ছিল। খোলা বাজারে আটার কেজি যখন ৩২ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, তখন ওএমএস’র আটা পাওয়া গেছে ১৮ টাকা কেজি দরে।
বেজপাড়ার তুহিন বলেন, ওএমএস’র আটা বিক্রি বন্ধের পর বাজারে খোলা আটার কেজি উঠেছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। প্যাকেট আটার দাম আরও বেশি। কোম্পানি ভেদে প্যাকেট আটার কেজি এখন ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। যশোর শহরের বড়বাজার ও স্টেশন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খোলা আটার দাম একটু কমেছে। এখন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পক্ষকাল আগে ৪২ টাকা দরে বিক্রি করতে হয়েছে বলে জানান অজিত সাহা। তিনি বলেন, প্যাকেট আটার দাম কমেনি। কোম্পানি ও বাজার ভেদে আটার দাম কম বেশি আছে।
বিসিক এলাকায় ওএমএস’র আটা বিক্রি করেন নিতাই চন্দ্র সাহা ও রেলস্টেশন এলাকার ডিলার হাফিজুর রহমান বলেন কবে নাগাদ আবার আটা বিক্রি হবে সেটা তারা জানেন না। যশোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মচারী উজ্জল কুমার দাশ বলেন, কবে নাগাদ আটা বিক্রি শুরু হতে পারে, তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুন্ডু বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি। ফলে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।