শাহারুল ইসলাম ফারদিন: আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে যশোরে বিশ্বকবি রবীন্দ্র্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করা হয়েছে। রোবাবর যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি, পুনশ্চ যশোর ও সুরধনীর আয়োজনে বিশ^কবি রবীন্দ্র্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথ জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। তার লেখনিতে ফুটে উঠেছে মানবতার জয়গান। মানুষকে নিয়ে তিনি আরাধনা করতেন। তার লেখায় শৈশব, কৈশোর, তারুণ্যের উচ্ছলতা খুঁজে পাওয়া যায়। ধর্ম নিয়ে তিনি বাড়াবাড়ি করতেন না। মানব ধর্মকেই তিনি ভালোবাসতেন। বাংলার ষড়ঋতুকে ভালোবেসে তিনি লিখেছেন গদ্য ও পদ্য।
রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, রবীন্দ্রনাথের সাথে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রেমের যোগসূত্র ছিলো বলেই, দেশের মানুষ ‘আমার সোনার বাংলা’ জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করেছে। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেতনা লালনের মধ্যদিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
আরো বক্তব্য দেন যশোর সিটি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীম আহসান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম।
এছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছোটদের দলীয় সংগীত, দলীয় নৃত্য, দলীয় আবৃত্তি, একক সংগীত, একক আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে পুনশ্চ যশোর কবিগুরুর ওপর সমবেত কণ্ঠে গান দিয়ে শুরু করে, এরপর শিশুদের গুচ্ছগান, একক গান, দ্বৈত গান, সমাবেত নৃত্য, আবৃত্তি ও নাটক দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
এর আগে বিকেল পাাঁচটায় যশোর টাউন হল ময়দানে পুনশ্চ যশোরের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন যশোর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী খান পলাশ।