কল্যাণ রিপোর্ট:
যশোর শহরের বকচর হুশতলায় রাকিব সরদার (২৮) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বকচর হুশতলা মাঠপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের চটপটির দোকানের পাশে ঘটনাটি ঘটে। নিহতের রাকিব সরদার (২৮) ওই এলাকার কবরস্থান পাড়ার ১ নম্বর গলির মৃত লিটু সরদারের ছেলে।
কারা কি কারণে রাকিবকে খুন করেছে নিহতের স্বজনরা তাৎক্ষনিকভাবে বলতে পারেননি। তবে একটি পক্ষের দাবি, আওয়ামী লীগের কর্মীসভা থেকে ফেরার পথে রাকিব সরদার ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে।
নিহতের ভাই রাজিব হোসেন জানান, আমার ভাই রাকিব ভাংড়ি শ্রমিকের কাজ করেন। সন্ধ্যায় চটপটি খাওয়ার জন্য যান শহিদুল ইসলামের দোকানে। দোকানের একটু দুরে গেলেই একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কারা কি কারণে আমার ভাইয়ে খুন করেছে তাৎক্ষনিকভাবে কিছু জানাতে পারেননি রাজিব।
ওই এলাকার বাসিন্দা এক ইজিবাইক চালক জানান, ৩৫ থেকে ৪০ জন যুবক বকচর বিহারী কলোনীপাড়ার মধ্য দিয়ে দ্রুত গতিতে বের হয়ে যেতে দেখেছেন তিনি। তার ধারণা তারাই রাকিব খুন করেছে। সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করলে খুনিদের সহজে শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুরসালিন রহমান জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান রাকিব সরদার। পরে মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তার দেহে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
যশোর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান বাবলু জানান, বিকেলে ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। রাকিবের চাচা হাফিজুর রহমান বটু ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। চাচা- ভাইপোর নেতৃত্বে কর্মীরা মিছিল নিয়ে কর্মী সভায় যোগদান করেন। কর্মীসভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে খুন হন রাকিব। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে খুন করেছে বলে ধারণা করছেন কাউন্সিলর। পুলিশ সোচ্ছার হয়ে তদন্ত করলে খুনিদের মুখোশ উন্মোচন হবে।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনা শুনে ঘটনস্থালে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে।