নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার রেড জোন যশোরে থেকে ২৪ টি রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসগুলো স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। নিষেধাজ্ঞার প্রতি বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।
এর মধ্যে যশোর-বেনাপোল, যশোর-সাতক্ষীরা যশোর-খুলনা, যশোর-চুয়াডাঙ্গা, যশোর-কুষ্টিয়া যশোর-মাগুরা ও যশোর-নড়াইল রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসগুলো চলছে আগের নিয়মে।
এই সব বাসের চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীদের কারও মুখে মাস্ক নেই। এসব যানবাহনে হ্যান্ড সেনিটাইজার কিম্বা জীবানুনাশক স্প্রে করার কোন ব্যবস্থা না রেখেই গতানুগতিক ভাবে যাত্রী বহন করা হচ্ছে।
এসব বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে এসব চিত্র। যশোর থেকে অভ্যন্তরীণ অন্তত ২৪টি রুটে পরিবহন যাতায়াত করে। মহামারীর বিস্তার ঠেকানোর লক্ষ্যে বাস পরিবহন ও তিন চাকায় অর্ধেক যাত্রী নেয়ার কথা থাকলেও চালকরা আগের মতোই যাত্রী বহন করছেন। চালক ও যাত্রীরা শারীরিক দূরত্বের বিষয়টি মোটেও তোয়াক্কা করছেন না। এমন কি মাস্কের ব্যবহারও যেন উঠে গেছে।
চালকের এক সহকারিকে মাস্ক ব্যবহার না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাত্রই তো বিধিনিষেধ শুরু হলো, আরেকটু বাড়ুক তখন আবার নিয়মিত মাস্ক পরবো। মাস্ক পরে কথা বলা যায় না!
বাসে এত যাত্রী তোলার কারণ জানতে চাইলে সুপারভাইজাররা (কন্ডাকটর) বলেন, আমরা তো প্রতিদিনই এমন যাত্রী বহন করি। তাছাড়া নাকি বিধিনিষেধ দিয়েছে। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে হবে, তারপরও তো এভাবে চলছি। কেউ তো কিছু বলছে না। এই ক’দিন একটু যাত্রী বেশি হচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গত কয়েকদিন নমুনা পরীক্ষা করে যশোরে নমুনা পরীক্ষা শনাক্তের হার প্রায় অনেকাংশ বেড়েছে। দরকার হলে মাক্স ব্যবহারে আরো সচেতনতা বৃদ্ধি করাসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত নামানো হবে।