জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক: যশোর পিটিআই ইন্সটিটিউটের অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার ‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী উদ্যোগ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে গেছে। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে হলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশে কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়েছে। দেশ এখন সঠিক পথে এগুচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজে খুশি দেশের সিংহভাগ মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে একের পর এক নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। গৃহহীন মানুষের স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। বহু পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে ভাগ্য বদলের চেষ্টা করছেন। প্রকল্পটি চলমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন দেশের সব গৃহহীন পর্যায়ক্রমে ঘর পাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গর্ভনেন্স ইনোভেশন ইউনিটের সহযোগিতায় যশোর জেলা প্রশাসন কর্মশালাটির আয়োজন করে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকতের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকতি সরকার। এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বির্নিমাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে কাজ করছে তৃণমূল প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীদাররা। নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল দারিদ্র ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার। বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়টিও ইশতেহারে ছিল। সেইসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সরকার প্রধান সফল হয়েছেন। যারমধ্যে পল্লী ব্যাংক, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, সবার জন্য বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশুর মানসিক বিকাশে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে ভারতের সাথে পানি চুক্তি অন্যতম। দ্বি-পাক্ষিক চুক্তির কারণে পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছি। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন না, বাস্তব। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণ। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বানিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গোটা বিশ^কে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা একীভূত হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর ফলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হু-হু করে বেড়ে যাবে। বদলে যাবে মানুষের ভাগ্য। এরই মধ্যে শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। যে কারণে মানুষ ফিরে পেয়েছে মৌলিক অধিকার। যা অতীতের কোন সরকার উন্নয়নে এভাবে চমক দেখাতে পারেনি।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকতি সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ১০টি পয়েন্টের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ অর্জন করা সম্ভব হবে। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান। প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জমান। কর্মশালায় ১০টি গ্রুপে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ১শ’ জন মানুষ অংশ নিয়ে লিখিত মতামত ও প্রস্তাব পেশ করেন।