কল্যাণ রিপোর্ট: যশোরে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকা-ের অভিযোগের পুলিশের করা মামলায় জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বাঘারপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল হাই মনাসহ আরো ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। এই নিয়ে মোট ৩৭ জনকে আটক করলো পুলিশ। এরা আগে গত শুক্রবার ১৭ জনকে আটক করা হয়েছিল।
আটক অন্যরা হলেন, সদর উপজেলার বানিয়ালি গ্রামের আব্দুর রশিদ, যশোর উপশহর ১ নম্বর সেক্টরের বিল্লাল হোসেন, সদরের জগহাটি গ্রামের মল্লিকপাড়ার আব্দুল মান্নান, এনায়েতপুর গ্রামের স্বপন, ফুলবাড়ি গ্রামের জয়নাল আবেদীন, গাইদগাছি গ্রামের মশিয়ার রহমান, সদুল্যাপুর গ্রামের রুহুল আমিন, শ্রীপদ্দী গ্রামের সরদারপাড়ার রুহুল আমিন লাল্টু, ভাতুড়িয়া গ্রামের আসানুর রহমান, চাঁচড়া মজিদপাড়ার মঈন আলী, চাঁচড়া শিব মন্দির এলাকার সোহাগ হোসেন, ম-লগাতি গ্রামের মিরাজ, বাঘারপাড়ার হাবুল্লা গ্রামের মোক্তাদির হোসেন টগর, বেনাপোল পোর্ট থানার গাতিপাড়ার জুলফিকার আলী জুলু, কাগজপুকুরের সোহরাব হোসেন, বাগআঁচড়া সাতমাইল মাঠপাড়ার হারুন মোল্লা, বাগআঁচড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের আমিনুর রহমান মনির, গোড়পাড়ার হারুন খা ও সদর উপজেলার হাশিমপুর বাজারের কামরুল ইসলাম বিশ্বাস।
মামলার এজাহারে পুলিশ উল্লেখ করে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে গত ২৪ ডিসেম্বর সকাল ৬টার দিকে শহরের লালদিঘির পূর্বপাড়ে শ্রী হরিসভা মন্দিরের সামনে বিএনপির কিছু লোক অর্ন্তঘাত ও ধংসাত্মকমূলক কর্মকা-ের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ ও রাষ্ট্র যন্ত্রকে দুর্বল করার চেষ্টায় জড়ো হয়েছে। এই সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখতে পায় আসামিরা সরকার ও রাষ্ট্র বিরোধী শ্লোগান দিচ্ছে। এ সময় সেখান থেকে ১৭ জনকে আটক করা হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। আটকদের কাছ থেকে ৬টি ককটেল ও তিনটি ব্যাগে রাখা ছোট সাইজের ৪৯টি পাথর উদ্ধার করা হয়। আটকরা ওই দিন পুলিশের কাছে পলাতক আসামিদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে।
ওই মামলায় ২৫ ডিসেম্বর রাতে যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ২০ জনকে আটক করে। আটকদের মধ্যে কয়েকজন ওই মামলার এজাহারনামীয় এবং অন্যরা সন্দিগ্ধ।