নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের সার্জারি রুমের সামনে অজ্ঞাত ৬-৭ জন যুবক হামলা করে। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আলমগীর হোসেন (১৭) নামে এক যুবককে আটক করে পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আটক আলমগীর শহরের সুলতানপুর খালপাড় এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ৬-৭ জন কিশোর বারান্দিপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে মুসাকে (১৭) পায়ে ছুরিকাহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। এ সময় তারা টিকিট না নিয়ে সার্জারি রুমে গিয়ে জোরপূর্বক উপস্থিত স্বাস্থ্য কর্মীদের ড্রেসিং করতে বলেন। ড্রেসিং রুমের ইনচার্জ সামসুর রহমান তাকে ইমারজেন্সি থেকে ডাক্তার দেখিয়ে টিকিট আনতে বলেন। এতে ওই যুবকরা সামসুর রহমানসহ ড্রেসিং রুমের অন্য কর্মচারীদের উপর চড়াও হয় ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে ওই যুবকেরা দায়িত্বরতদের টেনে হেঁচড়ে ওটির বাইরে নিয়ে মারপিট করে। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করলে অন্যরা পালিয়ে গেলেও আলমগীর নামে এক কিশোরকে আটক করে।
ড্রেসিং রুমের ইনচার্জ সামসুর রহমান বলেন, এখানে বিনা টিকিটে কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সেবা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি তাদের বারবার বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তারা কিছুতেই মানতে নারাজ। এক পর্যায় কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তাদের উপর হামলা চালায় ওই কিশোররা। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেছেন তারা।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেলগেটের মনিরুল ইসলাম, বারান্দীপাড়ার নুরুল ইসলাম, রাকিবুলসহ আরও কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, হঠাৎ চিৎকার শুনে তারা ড্রেসিং রুমের সামনে যায়। এরই মধ্যে কয়েক যুবক স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা চালায়। পরে তারা যেয়ে বাধা দেন ও যুবকদের ধাওয়া করেন। সবাই পালিয়ে যায় তবে আলমগীরকে তারা ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু পুলিশ কিছু সময় পর তাকে ছেড়ে দেয়।