নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর পৌসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। ভোটার তালিকা সঠিক নয় এমন অভিযোগে গত ২ মাস ধরে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। এখন নেতারা বলছেন, নগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবার পর ওর্য়াডটির কমিটি গঠন করা হবে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেতা-কর্মীরা।
যশোর নগর বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দলের কেন্দ্রীয় খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত জেলা বিএনপিতে চালু করেছেন ভোটের মাধ্যমে তৃণমূলে নেতা নির্বাচনের। ইতিমধ্যে জেলা বিএনপির ৮টি উপজেলা ও ৮টি পৌরসভার কমিটি ঢেলে সাজানো হয়েছে। যশোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির মনোনয়ন বিক্রির শেষ দিন ছিল গত ১২ এপ্রিল। এদিন সভাপতি পদে জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পদে শামিম আহমেদ মানুয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বাবলু শেখ মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ওই তিনজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। কিন্তু না করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ১৩ এপ্রিল ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেন। এরপর আজও ভোটের দিন ধার্য করেনি।
ওয়ার্ড বিএনপির একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ২০৫ জনের ভোটার লিস্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যেকারণে ভোট স্থগিত করে জেলা বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। কিন্তু পরবর্তীতে ভোটার তালিকায় কোন অসঙ্গতি না পেলেও ভোটের তারিখ ঘোষণা করছেন। তারা আশংকা করছেন জেলা বিএনপির কতিপয় নেতা পকেট কমিটি ঘোষণা করার জন্য ওয়ার্ডটিতে ভোটগ্রহণ র্দীর্ঘ করছেন। এধরণের কমিটি হলে ওয়ার্ডের কোন কর্মী মেনে নেবেনা। এতে সংকট তৈরি হবে ৭ নম্বর ওর্য়াড বিএনপিতে।
বিএনপি এখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চায়। লক্ষ্য পূরণে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে কর্মসূচি সাড়া পেয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের প্রত্যাশা পূরণে আশাবাদী হয়ে উঠেছে জেলা পর্যায় থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও। তাই সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু পকেট কমিটি করা হলে সেই লক্ষ্য ভেস্তে যাবে বলে ধারণা করছেন দলীয় নেতারা।
যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন জানান, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি থাকায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। যেকারণে নগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর ওয়ার্ডটির কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
নগর বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু বলেন, আমরা শিগগিরই ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠন করব। স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কমিটি গঠন করা হবে। এখানে কোন নয়-ছয়ের সুযোগ নেই।